কেপ টাউন: দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তেম্বা বাভুমাকে (Temba Bavuma)। তাঁর পরিবর্তে অধিনায়ক ঘোষণা করা হল এইডেন মারক্রামকে (Aiden Markram)।


পাশাপাশি সীমিত ওভারের ক্রিকেটে কোচিং স্টাফেও বড় রদবদল ঘটাল দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড। জ্যঁ পল দুমিনিকে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে প্রোটিয়াদের ব্যাটিং কোচ করা হল। পাশাপাশি বোলিং কোচ করা হল রোরি ক্লেইনভেল্টকে। বাভুমাকে শুধু যে নেতৃত্ব থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে তাই নয়, দল থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছে। মার্চের পরের দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই দলে রাখা হয়নি বাভুমাকে।


দুমিনিকে স্থায়ীভাবে ব্যাটিং কোচ করা হয়েছে। তবে ক্লেইনভেল্টের সঙ্গে বোলিং কোচ হিসাবে শুধুমাত্র ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য চুক্তি করা হয়েছে। দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসিকে স্কোয়াডে রাখা হয়নি। শোনা যাচ্ছে, দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ রব ওয়াল্টারের সঙ্গে ডুপ্লেসির কথাবার্তা সদর্থক হয়নি। তবে দলে ফের পরিবর্তন করা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।


শাকিবের ইতিহাস


বাংলাদেশের হয়ে শাকিব আল হাসানের (Shakib Al Hasan) রেকর্ডের অন্ত নেই। অনেকেই শাকিবকে বাংলাদেশের (Bangladesh Cricket Team) সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার হিসাবেও গণ্য করেন। সেই তারকা অলরাউন্ডারই সোমবার, ৬ মার্চ আরও একটি নতুন ইতিহাস রচনা করলেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে (BAN vs ENG) ওয়ান ডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসাবে শাকিব আন্তর্জাতিক ওয়ান ডে ক্রিকেটে ৩০০ উইকেট নিয়ে ফেললেন। 


তরুণ ইংল্যান্ড তারকা রেহান আমেদকে আউট করেই শাকিব নিজের ৩০০তম উইকেটটি পান। শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি সনৎ জয়সূর্য ও পাকিস্তানের তারকা অলরাউন্ডার শাহিদ আফ্রিদির পরে মাত্র তৃতীয় ক্রিকেটার হিসাবে ওয়ান ডে ক্রিকেটে ছয় হাজারের অধিক রান করার পাশাপাশি ৩০০ উইকেট নেওয়ার কৃৃতিত্ব গড়লেন শাকিব। বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার শাকিব ২২৭টি ম্যাচে ৩৭.৭০ গড়ে মোট ৬৯৭৬ রান করেছেন। নয়টি শতরানের পাশাপাশি ওয়ান ডেতে তাঁর ৫২টি অর্ধশতরানও রয়েছে।


অপরদিকে, বল হাতে ২৮.৯৬ গড়ে ও ৪.৪৫ ইকোনমিতে ৩০০টি উইকেট রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। ওয়ান ডেতে ২৯ রানের বিনিময়ে চার উইকেট নেওয়া তাঁর সেরা বোলিং পারফরম্যান্স। শাকিব ওয়ান ডেতে বাংলাদেশের সর্বকালের সর্বোচ্চ উইকেটসংগ্রাহক। তাঁর থেকে ৩১ উইকেট কম নেওয়া প্রাক্তন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তাজা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন আব্দুর রজ্জাক। তিনি ২০৭টি উইকেট নিয়েছেন। মুস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেন যথাক্রমে ১৪২ ও ১২৯টি উইকেট নিয়ে তালিকায় চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছেন। 


আরও পড়ুন: দিল্লি ক্যাপিটালস মহিলা দলের ম্যাচ দেখতে মাঠে হাজির 'মহারাজ'