কানপুর: দুরন্ত ছন্দে অক্ষর পটেল (Axar Patel)। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন। আর ম্যাচের শেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবার সঙ্গে ছবি পোস্ট করলেন। সঙ্গে লিখলেন আবেগপূর্ণ বার্তা। যা সকলের মন জিতে নিয়েছে।


শনিবার দিনের খেলা শেষ হওয়ার পর বাবার সঙ্গে কেক কাটার একটি ছবি শেয়ার করেন অক্ষর। গুজরাতের স্পিনার লেখেন, 'শুভেচ্ছাবার্তার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। এই ছবিটা আমার প্রিয় নায়কের জন্য। শুভ জন্মদিন বাবা।'



তিনি নাকি রান আটকে রাখার বোলিং করেন। কেউ কেউ বলতেন, তাঁর বলে না আছে স্পিন, না ফ্লাইট। শুধু নাকি জোরের ওপর টেনে টেনে বল করে যাওয়া। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য আদর্শ। কিন্তু টেস্টে? নাক সিঁটকোতেন অনেকে।


অথচ টেস্টের আঙিনায় পা রেখে হইচই বাঁধিয়ে দিয়েছেন সেই অক্ষর পটেল (Akshar Patel)। সাড়ে তিন টেস্টে (যেহেতু কানপুরে নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস এখনও বাকি) ৩২ উইকেট নিয়ে সব সমালোচনার জবাব দিয়ে দিয়েছেন গুজরাতের বাঁহাতি স্পিনার। চার টেস্টে পঞ্চমবার পাঁচ উইকেট। শনিবার এক সময় নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে অন্তত চারশো তুলবে মনে করা হচ্ছিল। সেখান থেকে ২৯৬ রানে অল আউট হয়ে গেলেন কিউয়িরা। নেপথ্যে অক্ষরের স্পিনের ভেল্কি। ৬২ রানে ৫ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের ত্রাস হয়ে উঠলেন। শিকারের তালিকায় সেঞ্চুরির মুখে দাঁড়িয়ে থাকা টম ল্যাথাম থেকে শুরু করে রস টেলর, অনেক বড় নাম।


ম্যাচের মোড় ঘোরানো স্পেল করে উঠে সমালোচকদের একহাত নিলেন অক্ষর। ম্যাচের শেষে এবিপি লাইভ তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিল, টি-টোয়েন্টি স্পেশ্যালিস্ট তকমা ঝেড়ে ফেলে টেস্টের মঞ্চে সাফল্য কোন রসায়নে? অক্ষর আগ্রাসী সুরে বললেন, 'কে বলেছিল আমি শুধু সাদা বলের খেলোয়াড়? আমি সেরকম কিছু জানি না।' তারপরই আত্মবিশ্বাসী সুরে বললেন, 'প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে হোক বা ভারতীয় এ দলের হয়ে, সবসময় ভালই পারফর্ম করেছি। আমি কখনও ভাবিনি যে আমি শুধু সীমিত ওভারের ক্রিকেটের খেলোয়াড়। কখনও লাল বল ও সাদা বলের ক্রিকেটার, এভাবে দেখিনি। আমি শুধু ঠিক করে রেখেছিলাম যখন যে ফর্ম্যাটেই সুযোগ পাই না কেন, দুই ধরনের ক্রিকেটেই ভাল খেলব। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে সুযোগ পেয়ে ভাল খেলেছিলাম।'


চার টেস্টে পঞ্চমবার ইনিংসে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট। সাফল্যের জন্য কৃতিত্ব দেবেন কাকে? অক্ষর বললেন, 'আমার সাফল্যের কৃতিত্ব জাতীয় দলের সতীর্থদের দেব। কারণ ওরা আমার ওপর ভরসা রেখেছে। আমাকে সুযোগ দিয়েছে। আমার ওপর আস্থা রেখেছিল বলেই পারফর্ম করতে পেরেছি। তাই এই সাফল্যের কৃতিত্ব দলের সকলেরই।'