ভাস্কো: আইএসএল-এ কলকাতা ডার্বিতে প্রথমার্ধের খেলা শেষে ৩-০ গোলে এগিয়ে এটিকে মোহনবাগান। একটি করে গোল রয় কৃষ্ণ, মনবীর সিংহ ও লিস্টন কোলাসোর। খেলার গতি-প্রকৃতি যেদিকে, তাতে যে কোনও সময় আরও গোল পেতে পারে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। লাল-হলুদ জার্সিধারীদের কোনও লড়াই-ই দেখা যাচ্ছে না। ফলে আজই কলকাতা ডার্বিতে জয়ের সর্বকালীন ব্যবধানের রেকর্ড ভেঙে যেতে পারে। ১৯৭৫ সালে আইএফএ শিল্ড ফাইনালে মোহনবাগানকে ৫-০ গোলে হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ২০০৯-এর ২৫ অক্টোবর আই লিগের ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল মোহনবাগান। একাই চারটি গোল করেছিলেন চিডি এডে। আজ সেসব রেকর্ড ভেঙে যেতে পারে।


ম্যাচের শুরুর কয়েক মিনিট দেখে অবশ্য বোঝা যায়নি, এভাবে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে গুঁড়িয়ে দেবে এটিকে মোহনবাগান। শুরুতে সাত-আট মিনিট লড়াই করছিলেন, এমনকী আক্রমণেও যাচ্ছিলেন লাল-হলুদ জার্সিধারীরা। কিন্তু প্রথম গোলের পরেই ম্যাচের গতি পুরো বদলে যায়। ১২ মিনিটে প্রথম গোল করে সবুজ-মেরুনকে এগিয়ে দেন বর্তমানে ভারতে খেলা স্ট্রাইকারদের মধ্যে অন্যতম সেরা রয় কৃষ্ণ। এই গোলের ধাক্কা কাটার আগেই ফের গোল খায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। ১৪ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান মনবীর সিংহ। ০-২ পিছিয়ে পড়ে লাল-হলুদের যাবতীয় লড়াই শেষ হয়ে যায়। এরপর ২৩ মিনিটে মারাত্মক ভুল করে বসেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক ও গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য। গত মরশুমে আইএসএল-এর সেরা গোলকিপার বক্সের ডানদিকে একটি বল ধরতে গিয়ে হাত ফস্কে, পা হড়কে পড়ে যান। বিনা বাধায় জালে বল জড়িয়ে দেন লিস্টন কোলাসো। 


এরপরেও গোল করার একাধিক সুযোগ পেয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। তবে প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি। এরই মধ্যে এসসি ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার বদল হয়। তৃতীয় গোলের সময় পড়ে গিয়ে চোট পাওয়া অরিন্দমের বদলে মাঠে আসেন তরুণ গোলকিপার শুভম সেন।


গত মরশুমে আইএসএল-এ দু’টি ডার্বিই হয়েছিল একপেশে। দু’টি ম্যাচেই জয় পেয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। এবারও সেরকম ফলই হতে পারে।