লন্ডন: ২০১০-র স্পটফিক্সিং কেলেঙ্কারির ছায়া থেকে বেরোতে মরীয়া পাকিস্তানি পেসার মহম্মদ আমির। ছয় বছর আগে যেখানে এই কলঙ্কের দাগ লেগেছিল সেই লর্ডসেই শাপমুক্তির খোঁজে আমির। আগামীকাল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ পাকিস্তানের। ওই ম্যাচেই অন্ধকার অতীতকে পিছু ফেলে নিজের ক্রিকেট কেরিয়ার এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর আমির।


উল্লেখ্য, ছয় বছর আগে ইংল্যান্ডের একটি ট্যাবলয়েডের স্টিং অপারেশনে যা ধরা পড়ে তা সমগ্র ক্রিকেটকেই কালিমালিপ্ত করে। খোদ পাক দলের অধিনায়ক সলমন বাটের নির্দেশমতো আমির ও দলের অন্য পেসার মহম্মদ আসিফ একের পর এক নো-বল করতে থাকেন। এই স্পটফিক্সিংয়ের অপরাধে তিন পাক ক্রিকেটারের ওপর পাঁচ বছর নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়। একইসঙ্গে স্পোর্টস এজেন্ট মাজহার মজিদের সঙ্গে বাট, আমির ও আসিফের জেলও হয়।

স্পটফিক্সিংয়ের ওই ঘটনা এতটাই আলোড়ল তুলেছিল যে, ওই ম্যাচে সদ্য কৈশোর পেরোনো আমিরের ৮৬ রানে ৬ উইকেট সংগ্রহের কৃতিত্ব ধামাচাপা পড়ে গিয়েছিল।

ঘটনার ছয় বছর পরেও আমিরের গতির সঙ্গে বলের লেট সুয়িং করানোর দক্ষতা একই রকম রয়েছে। সিরিজের প্রস্তুতি ম্যাচে ৩৬ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন আমির। কাজেই আগামীকালের টেস্টে সবার নজর থাকবে আমিরের দিকেই।

আমিরকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরানোর যৌক্তিকতা নিয়ে রামিজ রাজার মতো প্রাক্তনরা। কিন্তু পরিস্থিতি মেনে নিচ্ছেন দুই পক্ষের ক্রিকেটাররাই।

ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান জো রুট বলেছেন, আমিরের খেলা নিয়ে আমারদের নিজস্ব মতামত থাকতেই পারে। কিন্তু এই নিয়ে কথা বাড়িতে তো লাভ নেই। কারণ, আগামী চার টেস্টেই ও আমাদের বিরুদ্ধে বোলিং করবে।