তবে ধোনি ও রায়না দুজনেই চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলা চালিয়ে যাবেন।
অবসর নেওয়ার পরে ধোনি বা রায়নার বিবিএল বা সিপিএলের মতো বিদেশি লিগে খেলার কি সুযোগ আছে? এক্ষেত্রে বিসিসিআইয়ের একটি নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়ম অনুসারে, সক্রিয় খেলোয়াড়দের বিদেশের লিগগুলিতে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয় না। বিদেশি লিগে খেলতে খেলোয়াড়দের বোর্ডের কাছ থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) নিতে হয়। তবে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক-উভয় শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরেই কোনও খেলোয়াড় তা পেতে পারেন।
ভারতের প্রাক্তন ব্যাটসম্যান তথা ধারাভাষ্যকার আকাশ চোপড়া বলেছেন, যেহেতু ধোনি ও রায়না আর ভারতীয় দলে খেলবেন না, সেহেতু তাঁদের বিদেশি লিগগুলিতে খেলার ছাড়পত্র দেওয়া যেতে পারে।
“আমি মনে করি তাঁদের অনুমতি দেওয়া উচিত, কারণ তারা অবসর নিয়েছেন এবং তাঁরা ভারতীয় দলে আর খেলবেন না। তাই তাঁদের ছেড়ে দিলে কোনও অসুবিধা নেই। এক্ষেত্রে দুটি বিষয় রয়েছে। তারমধ্যে একটি হল ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট। বিসিসিআই তাদের চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের বিদেশের লিগগুলিতে খেলতে দেয় না কারণ তারা খেলোয়াড়দের চোটগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি নিতে চায় না। সেজন্য পর্যাপ্ত অর্থ দিয়ে থাকে।দ্বিতীয় দিকটি হ'ল বিসিসিআই তার মার্কি খেলোয়াড়দের ছাড়তে চায় না। কারণ, ভারতের মার্কি খেলোয়াড়রা যদি অন্য লিগে খেলতে শুরু করেন তবে আইপিএলের কোনও অভিনবত্ব থাকবে না। কাজেই আমার মনে হয় ধোনি ও রায়নাকে খেলতে দেওয়া উচিত। তবে ধোনি বিদেশি লিগে খেলবেন বলে মনে হয়না। তবে সুরেশ রায়নার বয়স মাত্র ৩৩ বছর। ও আরও ক্রিকেট খেলতে চাইবে।''
উল্লেখ্য, অবসর ঘোষণার পরই যুবরাজ সিং কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি খেলার জন্য বিসিসিআই থেকে এনওসি পেয়েছিলেন। রায়না বা ধোনি বোর্ডের কাছ থেকে বিগ ব্যাশ বা সিপিএলের মতো লিগে অংশগ্রহণের জন্য ছাড়পত্র চান কিনা তা এখন দেখার বিষয়।