নয়াদিল্লি: প্রায় পাঁচ মাস আগে শেষ ট্যুইট করেছিলেন ক্রিকেটার অম্বাতি রায়ডু। সেই ট্যুইট এতটাই নজর কেড়েছিল যে তা নিয়ে এখনও তাঁকে প্রশ্ন করা হয়। সমস্ত ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত তিনি প্রত্যাহারের পর ওই ট্যুইটের প্রসঙ্গ আরও বেশি করে ফিরে আসছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তেমন সক্রিয় নন রায়ডু। কিন্তু ভারতের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা না পাওয়ার পর ক্ষোভ উগরে তিনি ট্যুইট করেছিলেন- ‘বিশ্বকাপ দেখতে এইমাত্র ৩ ডি চশমার অর্ডার দিলাম’।
এরপর থেকে অনেক কিছু ঘটনা ঘটে গিয়েছে। তাঁর জায়গায় স্কোয়াডে যাঁকে নেওয়া হয়েছিল, সেই বিজয় শঙ্কর বিশ্বকাপ চলাকালেই চোট পেয়ে দলের বাইরে চলে গিয়েছিলেন। তাই এখন কি তাঁর সেই ট্যুইটের জন্য তিনি অনুতপ্ত? অবসরের সিদ্ধান্তের মতো এক্ষেত্রেও কি পিছু হঠতে চান তিনি? এসব প্রশ্নের জবাবে রায়ডু জানিয়েছেন, না।
তাঁর ওই ৩ ডি ট্যুইট ঘিরে বিতর্কের পর প্রথমবার মুখ খুললেন রায়ডু। ওই ট্যুইট
নিয়ে তাঁর কোনও আফসোস নেই বলে জানিয়ে দিলেন রায়ডু। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে অফিসিয়ার স্ট্যান্ডবাই হওয়া সত্ত্বেও দলে ডাক না পাওয়ার জন্য ওই ট্যুইট কোনও কারণ বলে মনে করেন না তিনি। রায়ডু বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি ততটা সড়গড় নন। খুব একটা আগ্রহও নেই। খ্যাতি বা মিডিয়ার প্রচারের আলো তাঁকে খুব একটা টানে না। তিনি শুধু খেলাকেই ভালোবাসেন এবং মাঠে পারফর্মম্যান্স উপভোগ করেন। খেলার সঙ্গে যে গ্ল্যামার জড়িত তাতে তাঁর কোনও আগ্রহ নেই বলেও মন্তব্য করেছেন রায়ডু।
ভারতের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে রায়ডু ও ঋষভ পন্থ স্ট্যান্ডবাই হিসেবে ছিলেন। শিখর ধবন চোট পাওয়ার পর পন্থকে দলে নেওয়া হয়। কিন্তু বিজয় শঙ্কর যখন দলের বাইরে চলে গিয়েছিলেন, তখন কিন্তু রায়ডুর পরিবর্তে মায়াঙ্ক অগ্রবালকে ইংল্যান্ডে পাঠানো হয়েছিল।
রায়ডু বলেছেন, তিনি খুবই হতাশ হয়েছিলেন। এমন ক্ষেত্রে প্রত্যেকেই হতাশ হবেন বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেছেন, আমি প্রচুর পরিশ্রম করেছিলাম। চার নম্বরের জন্য আমি নিজেকে তৈরি করেছিলাম। কিন্তু মনে হয়, ওদের চার নম্বর নিয়ে চিন্তাভাবনা হঠাত্ করেই বদলে গিয়েছিল। ওরা হয়ত অন্য কিছু চেয়েছিল..আমি এ ব্যাপারে নিশ্চিত নই।
রাডু বলেন, এটা খুবই হতাশার ছিল। কিন্তু আমি নিশ্চিত যে, ওদের চিন্তাভাবনায় কিছু কম্বিনেশন বা পরিকল্পনা ছিল।সত্যি কথা বলতে কী, বিশ্বকাপের জন্য খুবই প্রস্তুত ছিলাম।
বিশ্বকাপে ভারতের ব্যাটিং অর্ডারে চার নম্বরে পছন্দের ব্যাটসম্যান ছিলেন রায়ডু। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে ও ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজে সেভাবে সাফল্য পাননি তিনি। আইপিএলেও ব্যাট হাতে পারফরম্যান্স আশানপরূপ ছিল না।
রায়ডু অবশ্য বলেছেন, বিশ্বকাপের আগে আমি বেশ ভালোই খেলছিলাম।তবে সব ম্যাচেই ভালো খেলা যায় না। তবে ওই পর্বে আমি ভালোই ব্যাটিং করছিলাম। দলে জায়গা না পাওয়াটা আমার দুর্ভাগ্যজনক মনে হয়েছিল।