BCCI: শ্রেয়স, ঈশানের কড়া 'শাস্তি', কী বললেন জাতীয় দলে ব্রাত্য বাংলার ঋদ্ধিমান?

Wriddhiman On Shreyas And Ishan: তরুণ ক্রিকেটাররা যেখানে অনেকেই আইপিএলকে গুরুত্ব দিতে ঘরোয়া ক্রিকেটকে হেলাফেলা করছেন, সেখানে ঋদ্ধির মত ক্রিকেটার ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে যাচ্ছেন আটত্রিশ বছর বয়সেও।

Continues below advertisement

মুম্বই: বোর্ডের তরফে বার্তা দেওয়া হয়েছে সব ক্রিকেটারদের। ঘরোয়া ক্রিকেটে না খেললে জাতীয় দলের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেই মতই শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer) ও ঈশান কিষাণের (Ishan Kishan) মত ক্রিকেটার যাঁরা জাতীয় দলে ধীরে ধীরে নিজেদের মেলে ধরছেন, তাঁদের বোর্ডের বার্ষিক চুক্তির থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এবার সেই ইস্য়ুতে মুখ খুললেন ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha)। তিনি সোজাসুজি বললেন, ''যা হয়েছে সেটা পুরোটাই বোর্ড এবং প্লেয়ারদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। জোর করে কিছু করা যায় না।''

Continues below advertisement

তরুণ ক্রিকেটাররা যেখানে অনেকেই আইপিএলকে গুরুত্ব দিতে ঘরোয়া ক্রিকেটকে হেলাফেলা করছেন, সেখানে ঋদ্ধির মত ক্রিকেটার জাতীয় দলে ব্রাত্য হয়েও ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে যাচ্ছেন আটত্রিশ বছর বয়সেও। খেলার সুযোগ থাকলে তা লুফে নেওয়া উচিৎ বলেই মনে করেন শিলিগুড়ির পাপালি। তিনি বলছেন, ''আমি ফিট থাকলে খেলা চালিয়ে যাই। এমনকি ক্লাব ক্রিকেট, অফিস লিগের ম্যাচও খেলি। আমার কাছে প্রত্যেকটা ম্যাচই সমান গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি প্লেয়ার যদি এই বিষয়টি মাথায় রেখে চলতে পারে, শুধু তাদের কেরিয়ার উন্নতি হবে তা নয়, ভারতীয় ক্রিকেটেরও উন্নতি হবে। ঘরোয়া ক্রিকেটের গুরুত্ব বরাবরই ছিল। আমরা সরফরাজকে নিয়ে এত কথা বলছি ঘরোয়া ক্রিকেটের কারণেই।''

২০২০-২১ মরশুমে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অ্যাডিলেড টেস্টে ৩৬ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল ভারতীয় দল। সেই ম্য়াচেই শেষবার জাতীয় দলের জার্সি পরে মাঠে নেমেছিলেন ঋদ্ধিমান। এরপর থেকে আর জাতীয় দলে সুযোগ পাননি। পন্থের ধারাবাহিক পারফরম্য়ান্স ধীরে ধীরে রাস্তা বন্ধ করে দেয় ঋদ্ধির জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের পথ। এরপর ধ্রুব জুড়েলের মত তরুণও উঠে এসেছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে বাংলার হয়ে আর খেলেন না ঋদ্ধি। ত্রিপুরার জার্সিতে খেলেন পাপালি। অন্যদিকে শ্রেয়স আইয়ার জাতীয় দলের জার্সিতে বিশ্বকাপে পাঁচশোর ওপর রান করেছিলেন। ঈশান কিষাণ দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট সিরিজে দলে ছিলেন। ২ ক্রিকেটারকেই ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার নির্দেশ দিয়েছিল বোর্ড। কিন্তু তাঁরা কেউই রঞ্জিতে নিজেদের রাজ্য দলের হয়ে নামেননি। এরপর বোর্ডের রোষের মুখে পড়েন শ্রেয়স ও ঈশান।  ফিট থাকা সত্ত্বেও মুম্বইয়ের হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে নামেননি শ্রেয়স। তবে তুলনামূলক পারফরম্য়ান্স না করলেও হার্দিক পাণ্ড্যকে কেন গ্রেডেশনে একধাপ ওপরে তোলা হল তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। 

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola