সিডনি: শেন ওয়ার্নের (Shane Warne) পর অস্ট্রেলিয়া তথা বিশ্বক্রিকেটের আরও এক নক্ষত্রের আকস্মিক প্রয়াণ। মাত্র ৪৬ বছর বয়সে প্রয়াত অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস (Andrew Symonds)। কুইন্সল্যান্ডে গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। ওয়ার্নের মতো সাইমন্ডসও ছিলেন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের অন্যতম বর্ণময়, কিন্তু বিতর্কিত এক চরিত্র।


সিমো (এই নামেই অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট মহলে পরিচিত ছিলেন সাইমন্ডস) কেরিয়ারে বারবার জড়িয়েছেন বিতর্কে। তবে সবচেয়ে চমকে ওঠার মতো ঘটনা ঘটেছিল ২০০৮ সালে।


বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। তার আগে গুরুত্বপূর্ণ টিম মিটিং। টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে ক্রিকেটারদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বৈঠকে যোগ দেওয়া বাধ্যতামূলক। রিকি পন্টিং থেকে শুরু করে মাইকেল ক্লার্ক, সব রথী মহারথীরাই হাজির সেই বৈঠকে। কিন্তু সাইমন্ডস কই? খোঁজ পড়ে গেল। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগই করা যাচ্ছিল না।


পরে জানা গেল, তিনি মাঝনদীতে। নৌকার ওপর বসে। মাছ ধরতে গিয়েছেন সিমো। যা তাঁর ভীষণ পছন্দের নেশা। যে কারণে ম্যাথু হেডেনের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব। হেডেনও মাছ ধরতে ভালবাসেন। কিন্তু এই ঘটনায় প্রবল ক্ষোভ ছড়ায় অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের অন্দরমহলে। সিমোর অপেশাদারিত্বে ক্ষুব্ধ হয়ে তড়িঘড়ি দেশে ফেরত পাঠানো হয়। রাখা হয়নি ভারত সফরের দলেও। দেশে ফিরেও বিতর্ক। পাবে মারামারি করার অভিযোগ ওঠে সাইমন্ডসের বিরুদ্ধে।


মদ্যপানের জন্য বপারবার বিতর্কে জড়িয়েছেন। সাল ২০০৬। দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন সাইমন্ডস। ঠিক হল, ওয়ান ডে ক্রিকেটে তাঁকে অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা ক্রিকেটারের স্বীকৃতি দেওয়া হবে। সাইমন্ডস পাবেন অ্যালান বর্ডার পদক। কিন্তু ২০০৫ সালে বাংলাদেশের কাছে লজ্জার হারের পর মদ্যপান করে প্রকাশ্যে এসেছিলেন সিমো। যে কারণে পুরস্কার প্রাপকদের তালিকা থেকে তাঁর নাম ছেঁটে ফেলা হয়। মদ্যপান করায় ২০০৯ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে তাঁকে রাখা হয়নি ।


আরও পড়ুন: প্রয়াত অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস, গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু ক্রিকেট তারকার