দোহা: কাতার বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে (Semifinal) আজ মুখোমুখি হতে চলেছে ক্রোয়েশিয়া ও আর্জেন্তিনা (Croatia vs Argentina)। মদ্রিচ বাহিনীর বিরুদ্ধে কি মাঠে নামতে পারবেন দি মারিয়া, রদ্রিগো দি পল? গ্রুপ পর্বে মাঠে নামলেও পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলার সময় মাসল ইনজুরিতে ভুগেছিলেন ডি মারিয়া। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে শুরুর একাদশে না থাকলেও পরের দিকে অবশ্য নেমে খেলেছিলেন। কিন্তু তিনি কি আদৌ পুরোপুরি ফিট?


আর্জেন্তিনা দল সূত্রে খবর, দি মারিয়া অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালেও নব্বই মিনিটের খেলায় বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হয়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ২-২ সমতা হয়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত সময়ে ডিফেন্ডার লিসান্দ্রো মার্তিনেজকে তুলে দি মারিয়াকে পাঠানো হয়।


আর্জেন্তাইন কোচ স্কালোনি যদিও নিশ্চিত করতে পারেননি যে দি মারিয়াকে প্রথম থেকেই খেলাবেন কিনা। রদ্রিগো দি পল নিয়েও স্কালোনি বলেন, ''দে পলও পুরো ফিট। 


আর্জেন্তিনা ও ক্রোয়েশিয়া, দুই দলই টাইব্রেকারে কোয়ার্টার ফাইনাল জিতে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে। আর্জেন্তিনা নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ২ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল। তার পরেও ২-২ ফলে শেষ হয় ৯০ মিনিট। অতিরিক্ত সময়ে কোনও দলই গোল পায়নি। টাইব্রেকারে বিপক্ষের ২টি শট রুখে দিয়ে নায়ক আর্জেন্তিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ।


অন্যদিকে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে নেমার দ্য সিলভা স্যান্তোস জুনিয়রের দুরন্ত গোলে পিছিয়ে পড়েছিল ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু ইভান পেরিসিচ সমতায় ফেরান ক্রোটদের। তারপর টাইব্রেকারে জিতে শেষ চারে পৌঁছয় ক্রোয়েশিয়া।


আন্তর্জাতিক ফুটবলে এখনও পর্যন্ত ৫ বার মুখোমুখি হয়েছে আর্জেন্তিনা ও ক্রোয়েশিয়া। রেকর্ড বলছে, টক্কর হয়েছে সেয়ানে সেয়ানে। দুই দলই দুটি করে ম্যাচ জিতেছে। একটি ম্যাচ শেষ হয়েছে অমীমাংসিতভাবে।


৯৯৪ সালে দুই দেশের প্রথম ম্যাচ ড্র হয়েছিল। সেটি ছিল আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ। বিশ্বকাপে দুই দল দুবার মুখোমুখি হয়েছে। দুই দলই জিতেছে একটি করে ম্যাচ। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে ১-০ গোলে জিতেছিল আর্জেন্তিনা। তবে গত বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে আর্জেন্তিনাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিলেন ক্রোটরা। গোল করেছিলেন মদ্রিচও।


এবার কী হবে? কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপে কি মেসি ম্যাজিক দেখাবেন? নাকি শেষ হাসি হাসবেন মদ্রিচ? পঁয়ত্রিশের মেসি মাঠে ফুট ফোটাচ্ছেন। সাঁইত্রিশের মদ্রিচও গোটা মাঠ নিয়ন্ত্রণ করছেন। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে কখনও হারেনি আর্জেন্তিনা। সেই রেকর্ড কি অক্ষুণ্ণ থাকবে কাতারেও? অপেক্ষা আর একদিনের।