লন্ডন: অলি রবিনসনের বহুদিন আগে করা বিতর্কিত ট্যুইট ঘিরে তোলপাড় ইংল্যান্ড ক্রিকেট। নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে নজরকাড়া অভিষেকের পরেও যে কারণে তাঁকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য নির্বাসিত করেছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলশ ক্রিকেট বোর্ড। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করে দেখছে ইসিবি। আর সেই রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের বর্ণবিদ্বেষী ট্যুইট করার অভিযোগ উঠল এক ইংরেজ ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে। তবে বলা হচ্ছে, ট্যুইটগুলি করার সময় অভিযুক্তের বয়স ছিল ১৬ বছরের কম। যে কারণে তাঁর নাম প্রকাশ করা হয়নি।  


নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাটিতে টেস্ট সিরিজ চলাকালীনই ফের বিতর্কবিদ্ধ ইংল্যান্ডের ক্রিকেট। ব্রিটেনের এক সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, বর্ণবিদ্বেষী ট্যুইট করার অভিযোগ উঠেছে এক ইংরেজ ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে। অলি রবিনসনকে ইতিমধ্যেই নির্বাসনে পাঠিয়েছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলশ ক্রিকেট বোর্ড। তারপর ফের একই ঘটনা ঘিরে তোলপাড় বিলেত।


সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমে ইংরেজ ক্রিকেটারের পরিচয় প্রকাশ না করলেও তাঁর ট্যুইটটি প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে বেশ কিছু বর্ণবিদ্বেষী কথা লেখা রয়েছে। বলা হয়েছে, এই ট্যুইট করার সময় ওই ক্রিকেটারের বয়স ছিল ১৫ বছর। ইংল্যান্ডের অন্য একটি সংবাদপত্রের দাবি, তারা ক্রিকেটারটির পরিচয় জানে। কিন্তু ট্যুইট করার সময় ক্রিকেটারটি নাবালক থাকার কারণে তাঁর পরিচয় সামনে আনা হচ্ছে না। তবে সেই সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন এই ক্রিকেটার। ইসিবি সেই ক্রিকেটারের পরিচয় সামনে আনে কি না সেই দিকে নজর রয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের।


রবিনসনের বিতর্কিত ট্যুইট নিয়ে এখনও সরগরম বিশ্বক্রিকেট। ঐতিহাসিক লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল তাঁর। আর ইংল্যান্ডের জার্সিতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে অভিষেকেই অলি রবিনসন নজর কেড়ে নিয়েছিলেন বল হাতে। নিউজ়িল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে চার উইকেট পেয়েছিলেন। কিউয়িদের দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর শিকারের ঝুলিতে তিন উইকেট। সব মিলিয়ে অভিষেক ম্যাচে ৭ উইকেট। তবু বড়সড় শাস্তি পেয়েছেন রবিনসন। নির্বাসন তো হয়েছেই, হয়তো মোটা অঙ্কের জরিমানাও গুনতে হতে পারে ইংরেজ পেসারকে।


যার নেপথ্যে কোনও ক্রিকেটীয় কারণ নেই। আচমকাই রবিনসনের পুরোনো কিছু ট্যুইট ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যেখানে ৮-৯ বছর আগে ১৮ বছরের রবিনসনকে একের পর এক বর্ণবিদ্বেষী ট্যুইট করতে দেখা গিয়েছে। আচমকাই বিপাকে পড়েছেন ইংরেজ পেসার। দীর্ঘদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর করা বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য হঠাৎই ভাইরাল হয়েছে। এরপরেই নড়েচড়ে বসেছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলশ ক্রিকেট বোর্ড। এবার ফের একজনের বিরুদ্ধে একইরকম অভিযোগ উঠল।