অ্যান্টিগা: প্রত্যাশামতো চার দিনেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এক ইনিংস ও ৯২ রানে হারিয়ে চার টেস্টের সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল ভারত। ব্যাটে বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে জয় ছিনিয়ে নিল বিরাট কোহলির দল। অধিনায়কের দ্বিশতরানের পাশাপাশি ব্যাটে বলে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে জয়ের নায়ক রবিচন্দ্রন অশ্বিন। প্রথম ইনিংসে শতরানের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসে একাই বল হাতে তুলে নিলেন সাত-সাতটি উইকেট। জীবনের সেরা বোলিং করে ভারতকে জেতালেন ম্যান অফ দ্য অশ্বিন। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তিনি একই টেস্টে শতরান করার পর পাঁচ উইকেট নিলেন।

প্রথম ইনিংসে ভারত ৮ উইকেটে ৫৬৬ তুলে ডিক্লেয়ার করে দেয়। এরপর ব্যাট করতে নেমে মহম্মদ শামি-উমেশ যাদবের দাপটে মাত্র ২৪৩ রানেই অলআউট হয়ে যায় ক্যারিবিয়ানদের ইনিংস। তাদের ফলো অন করানোর সিদ্ধান্ত নেন কোহলি।

রবিবার চতুর্থ দিন ২১ রানে ১ উইকেট অবস্থায় খেলা শুরু করেছিলেন রাজেন্দ্র চন্দ্রিকা ও ড্যারেন ব্র্যাভো। দিনের শুরুতেই ব্র্যাভো (১০) ফিরে যান। এরপর মার্লন স্যামুয়েলস (৫০) ও চন্দ্রিকা ভারতের বোলিং আক্রমণের সামনে রুখে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অশ্বিনের পাশাপাশি অমিত মিশ্র, ইশান্ত শর্মারাও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিলেন। তাঁদের দাপটে ক্যারিবিয়ানদের মিডল অর্ডার ধসে যায়।

শেষদিকে অবশ্য কার্লোস ব্রেথওয়েট (৫১ অপরাজিত) এবং দেবেন্দ্র বিশু (৪৫) লড়াই করেন। কিন্তু ততক্ষণে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেষ উইকেটের পতন শুধু সময়ের অপেক্ষা ছিল।

এশিয়ার বাইরে এটাই ভারতের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে টেস্ট জয়। এর আগে ২০০৫-০৬ মরশুমে বুলাবায়ো টেস্টে জিম্বাবোয়েকে ইনিংস ও ৯০ রানে হারিয়েছিল ভারত। কোহলি-অশ্বিনরা সেই জয়ের ব্যবধানকে টপকে গেলেন।

এই ম্যাচে বাংলার উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান সাহাও নজর কেড়ে নিলেন। প্রথম ইনিংসে পাঁচটি ক্যাচ এবং একটি স্ট্যাম্পের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও একটি ক্যাচ নিলেন। ম্যাচে তাঁর মোট শিকারের সংখ্যা সাত।

এই জয়ের পর অশ্বিন কী বলেছেন দেখুন