বুয়েনস আইরেস: ফুটবলের রাজপুত্রের প্রয়াণের পর প্রথমবার মাঠে নামল আর্জেন্তিনা। কিংবদন্তিকে শ্রদ্ধা জানাতে বিশেষ আয়োজন করেছিল আর্জেন্তিনার ফুটবল ফেডারেশন। চিলের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে লিওনেল মেসিরা প্রত্যেকে মাঠে প্রবেশ করলেন দিয়েগো মারাদোনার ১০ নম্বর জার্সি পরে। যে জার্সির বুকে মারাদোনার ছবি। সেই সঙ্গে মাদ্রেস দে সিউদাদ স্টেডিয়ামের বাইরে মারাদোনার পূর্ণাবয়ব মূর্তির উদ্বোধন করা হল।


গত বছর ২৫ নভেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন কিংবদন্তি মারাদোনা। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। তবে তাঁর মৃত্যু নিয়ে রহস্য রয়েছে। যা নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে। আঙুল উঠেছে চিকিৎসকদের দিকে। বিতর্কের মাঝেই বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারকে শ্রদ্ধা জানাল আর্জেন্তিনা। ম্যাচের আগে মারাদোনার ছবি-সহ বিশেষ জার্সি পরে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে দেখা যায় মেসিদের। প্রত্যেকের জার্সির পিছনেই ১০ সংখ্যা লেখা ছিল, যা ছিল মারাদোনার জার্সির নম্বর। তবে যেহেতু এটি ফিফার প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ ছিল, তাই এই জার্সি পরে ম্যাচে নামতে দেওয়া হয়নি মেসিদের।



দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচটি অবশ্য জিততে পারেনি আর্জেন্তিনা। এগিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত চিলের সঙ্গে ড্র করেন মেসিরা। আর্জেন্তিনার সামনে কার্যত দুর্ভেদ্য হয়ে ওঠেন চিলি গোলরক্ষক ক্লদিও ব্র্যাভো। তাঁর দৃঢ়তাতেই ম্যাচটি ১-১ ড্র হয়। অন্তত তিনটি নিশ্চিত গোল বাঁচান তিনি। পেনাল্টি থেকে আর্জেন্তিনাকে এগিয়ে নেন মেসি। আলেক্সিজ় স্যাঞ্চেজ় ম্যাচে সমতা ফেরান। শেষ পর্যন্ত অমীমাংসিতভাবে শেষ হয় ম্য়াচ। মেসির একটি ফ্রি কিক বারে লেগে প্রতিহত হয়।




প্রিয় মারাদোনাকে জয় উপহার দিতে না পারলেও তাকে অনুভব করার কথা জানালেন আর্জেন্তিনা অধিনায়ক। ম্যাচের পর মেসি বলেন, “মারাদোনা চলে যাওয়ার পর প্রথমবার দেশের হয়ে খেলতে নামলাম। তাই এই ম্যাচ সবদিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। জানতাম যে, জাতীয় দল ওঁর কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাই দিয়েগো কোনওভাবে ম্যাচে হাজির থাকুক, সেটা চেয়েছিলাম।”