বেঙ্গালুরু: কাল থেকে রঞ্জির নক আউট পর্ব শুরু হচ্ছে। বাংলার সামনে ঝাড়খণ্ড। মাঠে নামার আগেই একপ্রস্ত বিতর্ক সামলাতে হয়েছে বাংলা দলের কোচ থেকে শুরু করে নির্বাচক মণ্ডলী ও সিএবিকে। আর তা পুরোটাই ঋদ্ধিমান ইস্যু নিয়ে। কিন্তু এখন আর তা নিয়ে ভাবতে রাজি নন বাংলার হেডকোচ অরুণ লাল। বেঙ্গালুরু থেকে ফোনে এবিপি লাইভের সঙ্গে কথা বললেন ময়দানের লালজি। প্রস্তুতি থেকে শুরু করে গেমপ্ল্যান সবকিছুই উঠে এল। কী বললেন তিনি?
নক আউটে নামার আগে প্রস্তুতি কেমন হল?
অরুণ লাল: ছেলেরা সবাই ভীষণ আত্মবিশ্বাসী। আমরা তিনটি ম্যাচ টানা জিতে নক আউটে পৌঁছেছিলাম। তাই এখান থেকে পেছনে ফিরে যাওয়ার কোনও কারণই নেই। বেশ কয়েকজন আইপিএলে খেলেছে। কিন্তু ওঁদের বারবার বলেছি যে সাদা বল ও লাল বলের খেলা একদম আলাদা। তাছাড়া ক্যাম্প হয়েছে আমাদের, প্রস্তুতি ম্যাচেও দারুণ পারফর্ম করেছে ছেলেরা। আমি নিশ্চিত ছেলেরা ভালই খেলবে। এখানকার উইকেটটা বুঝে নিতেই আমরা ১০ দিন আগে পৌঁছে গিয়েছিলাম। পিচে ঘাস থাকলেও উইকেট কিন্তু অনেকটাই ফ্ল্যাট এখানে। সিমে বল পড়ে নড়াচড়া করে। আমরা কাল সকালে উইকেট দেখেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। কিন্তু বোলারদের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তিন পেসারে অবশ্যই খেলব, বাকিটা কাল উইকেট দেখেই সিদ্ধান্ত নেব।
শামি-ঋদ্ধির না থাকাটা সমস্যা হবে না?
অরুণ লাল: কেন সমস্যা হবে? এর আগেও তো বাংলা দল ওঁদের ছাড়া খেলেছে। ওঁদের নিয়ে ভেবে তো কখনও প্লেয়াররা মাঠে নামেনি। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে যদি ওঁরা থাকত, তবে অবশ্যই আমাদের জন্য ভাল হত। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমরা চিন্তায় পড়ে যাব।
ঋদ্ধিমানের অভাব অনুভূত হবে?
অরুণ লাল: দেখুন, ঋদ্ধি বাংলার হয়ে দীর্ঘদিন খেলেছে। আমরা সবাই চেয়েছিলাম যে ওঁ খেলুক। কিন্তু পুরোটাই ওঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কিন্তু আমি এখন আর ভাবছিই না ওঁকে নিয়ে। আমাদের ১৫ দিন খেলতে হবে। শুধু ম্যাচ নিয়েই ভাবছি।''
স্ত্রী কী বলছে? কোথাও ঘুরতে গেলেন?
ওঁ আমাকে ভীষণ সাপোর্ট করে। এখানে আমার সঙ্গে এসেছে। কিন্তু আমরা তো সময়ই পাইনি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার। আপাতত ম্যাচেই ফোকাস করছি। পরে দেখা যাবে।