ম্যাঞ্চেস্টার: বল বিকৃতিকাণ্ডের জেরে নির্বাসনের মেয়াদ কাটিয়ে মাঠে ফিরে ব্যাট হাতে স্বপ্নের ফর্মে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। চলতি অ্যাশেজ সিরিজের চতুর্থ টেস্টে স্মিথের দ্বিশতরানে ভর করে অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস ৮ উইকেটে ৪৯৭ রানে ডিক্লেয়ার করল।
এই বিশাল রান সংগ্রহ করার পথে স্মিথকে যোগ্যসঙ্গত দিয়েছেন মারনাস লাবুশানে, অধিনায়ক টিম পেইন ও মিচেল স্টার্ক। তাঁরা সবাই অর্ধশতরান করেছেন। এভাবে অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ডের ঘাড়ে বড় রানের বোঝা চাপিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে। দ্বিতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ডের রান ১ উইকেটে ২৩।
৩ উইকেটে ১৭০ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম সেশনে ট্রাভিস হেড ও ম্যাথিউ ওয়েডের উইকেট হারায় তারা। কিন্তু ক্রিজের একদিক আঁকড়ে খেলতে থাকেন স্মিথ। সেইসঙ্গে কেরিয়ারের তৃতীয় দ্বিশতরান সম্পূর্ণ করেন তিনি। ৩১৯ বলে ২১১ রানের এই ম্যারাথন ইনিংসে রয়েছেন ২৪ টি চার ও দুটি ওভারবাউন্ডারি। টেস্ট কেরিয়ারে এর আগের দুটি ডাবল সেঞ্চুরি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই করেছিলেন স্মিথ।
দিনের তৃতীয় সেশনে জো রুটের বলে আউট হন তিনি। দলের ৪৩৮ রানে আউট হন স্মিথ। এরপর স্টার্ক ইংল্যান্ডের বোলারদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন। ৫৮ বলে ৫৪ রান করেন তিনি। নাথন লিওন ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
স্মিথ ও পেইনের জুটিতে ষষ্ঠ উইকেটে ১৪৫ রান যোগ করে অস্ট্রেলিয়া। পেইন করেন ৫৮ রান।
চলতি অ্যাশেজে দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন স্মিথ।প্রথম টেস্টে এজবাস্টনে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ১৪৪ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪২ রানের ইনিংস খেলেন স্মিথ। আর স্মিথের এই পারফর্ম্যান্সের ওপর ভর করেই প্রথম টেস্টে ২৫১ রানের বড় জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। লর্ডসে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৮ রানের জন্য শতরান হাতছাড়া হয় তাঁর (৯২)। জোফ্রা আর্চারের বাউন্সারে আঘাত পেয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে পারেননি তিনি। চোটের কারণে খেলতে পারেননি লিডস টেস্ট। এরপর ম্যাঞ্চেস্টারে দলে ফিরেই দ্বিশতরান করলেন তিনি।