অ্যাডিলেড: প্রথম টেস্টে গাব্বায় (gabba) জয় এসেছিল। দ্বিতীয় টেস্টে অ্যাডিলেডেও দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিল অস্ট্রেলিয়া (australia)। অ্যাশেজে (ashes) ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল তারা। ইংল্যান্ডের (england) বিরুদ্ধে গোলাপি বলের টেস্টে ২৭৫ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পেল ব্যাগি গ্রিনরা। বল হাতে ৫ উইকেট তুলে নিলেন জাই রিচার্ডসন। শতরান হাঁকিয়ে ম্যাচের সেরা হলেন মার্নাস লাবুশেন। 


৪৬৮ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্র তাড়া করতে নেমে চতুর্থ দিনের শেষ বলে জো রুটের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। সেই সময় দলের স্কোর ছিল ৪ উইকেট হারিয়ে ৮৩। শেষদিনে ৬ উইকেট তুলে নিলেই ম্যাচ পকেটে পুরে নিতে হল অস্ট্রেলিয়াকে। সেই মতোই এদিন বাকি উইকেটগুলো তুলে নিল অজি বোলাররা। ৫ উইকেট পেলেন জাই রিচার্ডসন। ১৯২ রানে শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। শেষ দিকে ক্রিস ওকস ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন। জস বাটলার ২০৭ বলে ২৬ রান করেন। 


চতুর্থ দিনের শুরুটা কিন্তু ইংল্যান্ড বেশ ভালই করেছিল। ১০ রানের মধ্যেই অজিদের তিন উইকেট নিয়ে, অল্প আশার আলো জাগিয়েছিলেন ইংল্যান্ড বোলাররা। তবে প্রথম ইনিংসে শতরানের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ফের ঝলসে উঠল মার্নাস ল্যাবুশেনের ব্যাট। ট্র্যাভিস হেড ও ল্যাবুশেনের ৮৯ রানের পার্টনারশিপ ইংল্যান্ডের প্রত্যাঘাতের আশা শেষ করে দেয় । দুজনই ৫১ রান করে আউট হন। পরের দিকে ক্যামরন গ্রিন ঝোড়ো ৩৩ রান করে যান । অস্ট্রেলিয়া নয় উইকেটের বিনিময়ে ২৩০ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার দেয়। ইংল্যান্ডের সামনে জয়ের জন্য ৪৬৮ রানের লক্ষ্য রাখে ।


জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার হাসিব হামিদকে শূন্য রানে হারায় ইংল্যান্ড। রোরি বার্নস (৩৪) ও ডেভিড মালান (২৩) কিছুটা চেষ্টা করলেও বড় রান পাননি। ওয়ার্ম আপের সময় চোট পাওয়ায় দিনের শুরুতে ফিল্ডিং করতে নামেননি জো রুট। ব্যাট হাতে তিনি লড়াই শুরু করেন। তবে দিনের শেষ বলে মিচেল স্টার্ক রুটকে ২৪ রানে ড্রেসিংরুমে ফেরান। ক্রিজে রয়েছেন বেন স্টোকস (৩)।