সিডনি: প্রত্যাবর্তন বোধহয় একেই বলে। প্রথম ইনিংসের পর সিডনি টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেও শতরান হাঁকালেন উসমান খোয়াজা। প্রথম ইনিংসে ১৩৭ রান করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ১০১ রানে অপরাজিত থাকলেন। মূলত তাঁর ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করেই ইংল্যান্ডকে ৩৮৮ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা দিল অস্ট্রালিয়া। যা তাড়া করতে নেমে চতুর্থ দিনের শেষে বিনা উইকেটে ৩০ রান বোর্ডে তুলেছে ইংল্যান্ড।
আগের দিন শতরান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছিলেন বেয়াস্টো। এদিন ব্যক্তিগত ১১৩ রানের মাথায় স্কট বোল্যান্ডের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে যান। মার্ক উড ৩৯ রান করে আউট হন। এরপর আর বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি ইংল্যান্ডের ইনিংস। ২৯৪ রানে অল আউট হয়ে যায় তারা। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলা শুরু করেন অজি ব্যাটাররা। দলীয় ৮৬ রানের মাথায় ৪ উইকেট হারিয়ে বসে অস্ট্রালিয়া। এরপর ফের একবার নিজের জাত চেনানো শুরু করেন বাঁহাতি খোয়াজা। এই ম্যাচে করোনা আক্রান্ত ট্রাভিস হেডের বদলি হিসেবে নেওয়া হয়েছিল তাঁকে। নির্বাচকদের আস্থার পূর্ণ মর্যাদা রাখলেন। ১০টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কার সাহায্যে ১০১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেন। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন ক্যামেরন গ্রিন। তিনিও ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে ২৬৫ রান বোর্ডে তুলে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
৩৮৮ রানের পাহাড়প্রমাণ লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে দিনের শেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩০ রান করেছেন ইংল্যান্ড। ২২ রানে অপরাজিত জ্যাক ক্রলি ও ৮ রানে খেলছেন হাসিব হামিদ। কাল ম্যাচের শেষ দিন। কামিন্স, বোল্যান্ড, স্টার্কদের সামনে গোট দিন টিকে থাকতে পারবে কি না ইংলিশ ব্যাটিং লাইন আপ, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ অ্যাশেজের মঞ্চে বডি শেমিংয়ের শিকার বেয়ারস্টো, স্টোকস