রাজকোট: গতকালই টেস্টে ৫০০ উইকেটের মালিক হয়েছিলেন। এবার আচমকাই রাজকোট টেস্ট (Rajkot Test) থেকে সরে দাঁড়ালেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Aswin)। ভারত-ইংল্যান্ড (IND vs ENG Test) তৃতীয় টেস্টে আর খেলতে দেখা যাবে না তামিলনাড়ুর এই অফস্পিনারকে। বোর্ডের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই বিষয়ে। সূত্রের খবর, পরিবারের কেউ অসুস্থ, তার জন্যই ম্যাচ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অশ্বিন।


বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এক বিবৃতিতে, "অশ্বিন চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার। ওঁর সিদ্ধান্তকে আমরা সম্মান জানাই। স্বাস্থ্য সবসময় একটা অন্যতম প্রধান বিষয়। আর বিশেষ করে নিজেদের পরিবারের মানুষ, ভালোবাসার মানুষের স্বাস্থ্য তো অবশ্যই সবার আগে। সবাইকে বোর্ডের তরফে অনুরোধ করা হচ্ছে যে এই পরিস্থিতিতে অশ্বিনের পরিবারের গোপনীয়তাকে সম্মান জানানো হোক।"


চলতি সিরিজ দুর্দান্ত কাটছিল অশ্বিনের জন্য। দ্বিতীয় ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে অনিল কুম্বলের পর টেস্টে ৫০০ উইকেটের মালিক হয়েছেন গতকাল। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে জ্যাক ক্রলিকে আউট করার সঙ্গে সঙ্গে এই নজির গড়েছেন তিনি। 


অথচ একটা সময় এই স্পিন বোলিং নয়, মিডিয়াম পেস বোলিংই বেশি করে টানত অশ্বিনকে। স্কুলের নেটে মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন। কিন্তু বেশিদিন পারলেন না। দেখলেন যে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছেন। অবশেষে সিদ্ধান্ত বদল। কোচকে প্রশ্ন করেছিলেন যে স্পিন বোলিং করবেন কি না। স্কুলের কোচ তখন রাজি হয়েছিলেন। এরপরই বল ঘোরানোর দক্ষতা দেখে সেন্ট বেডে'স অ্যাঙ্গলো ইন্ডিয়ান হাই স্কুলের কোচ বিজয় কুমার বুঝে যান যে এই ছেলের মধ্য়ে আরও এগিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। 


উল্লেখ্য, ২০১১ সালে টেস্টে অভিষেক হয় অশ্বিনের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সেই ম্য়াচে মোট ৯ উইকেট নিয়েছিলেন। ম্য়াচের সেরাও হয়েছিলেন তিনি। সেই ম্য়াচও ভারত জিতে নিয়েছিল ৫ উইকেটে। 


এদিকে, তৃতীয় টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৪৪৫ রান বোর্ডে যোগ করে দিয়েও কিছুটা চাপে ভারত। কারণ তৃতীয় দিনের শেষে মাত্র ২ উইকেটই ফেলতে পেরেছে তাঁরা ইংল্যান্ড শিবিরের। এমনকী বেন ডাকেট ১৩৩ রান করে ক্রিজে রয়েছেন এখনও। ১১৮ বলের ইনিংসে ২১টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান এই বাঁহাতি ইংরেজ ওপেনার। ভারতের মাটিতে এটি যে কোনও ব্যাটারের তৃতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি। ৮৮ বলে শতরান পূরণ করেছিলেন বেন ডাকেট। তাঁর আগে রয়েছেন ২০০১ সালে অ্যাডাম গিলক্রিস্টের মুম্বইয়ে করা ৮৪ বলে সেঞ্চুরি ও ১৯৭৪ সালে ক্লাইভ লয়েডের ৮৫ বলে সেঞ্চুরি।