গতকাল পাকিস্তানকে হারানোর পর রোহিত বলেছেন, পুরো বোলিং বিভাগ তাদের কাজটা দারুণভাবে করেছে। ওদের কুর্ণিশ জানাতেই হয়। এ ধরনের পরিবেশে ধারাবাহিকভাবে একই ধরনের পারফরম্যান্স করা খুবই চ্যালেঞ্জিং। তাই ওদেরকে কৃতিত্বটা দিতেই হয়।
গতকাল শিখর ধবনের সঙ্গে দ্বিশতরানের পার্টনারশিপ করে দলের জয় নিশ্চিত করেন রোহিত।
শিখরের সঙ্গে রোহিতও সেঞ্চুরি করেন। ম্যাচের পর রোহিত অবশ্য বোলারদের অবদানের কথাই বলেছেন। বিশেষ করে তিনি জসপ্রিত বুমরাহর কথা উল্লেখ করেছেন। অধিনায়ক বলেছেন, আমার মনে হয় বোলার হিসেবে ও অনেক পরিণত। এখন ও নিজের বোলিংটা খুব ভালো বুঝেছে এবং কী করে বিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখা যায়, তা জানে। ভূবির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
পার্টটাইম স্পিনার কেদার যাদব সহ চার স্পিনার নিয়ে খেলার কৌশল নিয়েও খুশি রোহিত। বল হাতে এখনও পর্যন্ত সফল কেদার। সেইসঙ্গে রবীন্দ্র জাডেজার অন্তর্ভূক্তি দলের বোলিং অ্যাটাকে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে।
শিখরের সঙ্গে এই নিয়ে ১৩ টি সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ হয়ে গেল রোহিতের। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ধবনের সঙ্গে ব্যাটিং করাটা খুব সহজ। কারণ, তাঁরা দুজনেই দুজনের ভূমিকা সম্পর্কে জানেন।
ধবন বলছেন, এখন তিনি একদিনের ক্রিকেটে শট বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নজর দেন। আর রোহিতের কাছ থেকে ৫০ কে সেঞ্চুরিতে বদলে ফেলতে শিখেছেন।
অন্যদিকে, পাক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ফিল্ডিংয়ে কয়েকটি ক্যাচ ফেলার জন্য আফসোস করেছেন। রোহিতের ক্যাচ ফেলার মাশুল দলকে গুণতে হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
সরফরাজ আহমেদ বলেছেন, ক্যাচ ফেলে আমরা আমাদের কাজটা কঠিন করে ফেলি। এমনিতে ২০-২৫ রান কম তুলেছি। এই অবস্থায় ওই ক্যাচগুলি ধরতে পারলে আমরা আকর্ষণীয় কিছু একটা করতে পারতাম। বিকেলের দিকে উইকেট কিছুটা কঠিন ছিল। কারণ, ফাটল বেড়ে গিয়েছিল। এই পিচে ব্যাটসমম্যানদের রান করার কাজটা সহজ ছিল না। শুরুতেই কয়েকটা উইকেট নিতে পারলে রান তাড়ার কাজটা আদৌ সহজ হত না। ব্যাটিংয়ের সময় শুরুর দিকে কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ফেলি। এই পরিস্থিতি থেকে দলকে টেনে তোলাটা কঠিন হয়ে গিয়েছিল।
ভারতের দুই শতরানকারী ব্যাটসম্যানের প্রশংসাও করেছেন সরফরাজ।
ক্রিকেটের বিভিন্ন ফর্ম্যাটে বোলিংয়ে ভারত ধারাবাহিক পারফর্ম্যান্সের জন্য একঝাঁক বোলারের তৈরি থাকা এবং তাঁদের ওপর টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থা বজায় রাখাকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন লেগ স্পিনার যজুবেন্দ্র চাহল। তিনি বলেছেন, আমাদের ১০-১৫ জনের একটিা বোলিং পুল রয়েছে। এর আগে এমনটা ছিল না। যে কারুর জায়গায় যাকেই খেলানো হোক, সেই বোলারও একইরকম দক্ষ।
চাহল বলেছেন, ইংল্যান্ডেও আমাদের বোলাররা দাপট দেখিয়েছিল। এটা দেখিয়েছে যে, দলে পেসার ও স্পিনারদের নিয়মিত ধারা রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থা, যা তরুণদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে কোনও নেতিবাচক মানসিকতা নেই। তাই বোলাররা বোলিংয়ের ওপরই মনোনিবেশ করতে পারে।