মুম্বই: একটা সময় তাঁর বল না করা নিয়ে তুমুল হইচই হয়েছিল। আইপিএলে (IPL) অবশ্য ফের বল করতে শুরু করেন হার্দিক পাণ্ড্য (Hardik Pandya)। সফলও হন। জাতীয় দলে ফিরেও বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছেন বঢোদরার অলরাউন্ডার।


সামনেই এশিয়া কাপ (Asia Cup 2022)। তার আগে স্টার স্পোর্টসের এক অনুষ্ঠানে জাতীয় দলের প্রাক্তন উইকেটকিপার তথা হার্দিকের ছোটবেলার কোচ কিরণ মোরে বলেছেন, 'বল হাতে দুর্দান্তভাবে ছন্দে ফিরেছে হার্দিক। ঘণ্টায় ১৪০-১৪৭ কিলোমিটার গতিতে বল করছে। যে কোনও অধিনায়কের কাছে ও সম্পদ। যে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৪ ওভার বল করতে পারে। উইকেটও নিতে পারে। আবার ব্যাট হাতে ফিনিশারের ভূমিকাও নিতে পারে। দলে এরকম ক্রিকেটার দরকার।'


মোরে যোগ করেছেন, 'তবে এই দল এশিয়া কাপের জন্য। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে কিছু পরিবর্তন হবে। মহম্মদ শামি অবশ্যই ফিরবে। রাহুল দ্রাবিড় বিকল্প তৈরি করে রাখতে চায়। কোনও বোলার চোট পেলে অস্ট্রেলিয়ায় আবেশ খানকেও নিয়ে যেতে পারে। বুমরার এখন চোট রয়েছে তবে ও  আর শামি অবশ্যই বিশ্বকাপের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় যাবে।'


কী বলছেন শ্রীকান্ত


দরজায় কড়া নাড়ছে এশিয়া কাপ (Asia Cup)। সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তাই এবারের টুর্নামেন্ট হচ্ছে টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে। ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে, এশিয়া কাপে ভারতের ফিনিশারের ভূমিকায় কাকে দেখা যেতে পারে। কেউ কেউ দীনেশ কার্তিককে ফিনিশারের ভূমিকায় দেখতে চান।


যদিও কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্তের (krishnamachari srikkanth) তাতে সায় নেই। এশিয়া কাপের সম্প্রচারকারী চ্যানেল স্টার স্পোর্টসের একটি বিশেষ শোয়ে শ্রীকান্ত বলেছেন, 'ফিনিশার বলতে কী বোঝেন? আমার কাছে ফিনিশার হল সে, যে ৮ বা ১২ ওভার থেকে খেলাটা ধরে ২০ ওভার পর্যন্ত টেনে দিতে পারে। এবং ভারতকে ম্যাচ জেতাতে পারে। কে এল রাহুল ভাল ফিনিশার হতে পারে। রোহিত শর্মা ভাল ফিনিশার হতে পারে। আমি কখনওই বলব না যে, শেষ পাঁচ ওভারে যে ভাল ব্যাট করবে সেই ফিনিশার। আমি দীনেশ কার্তিককে ফিনিশার বলতে পারি। কিন্তু আসল ফিনিশার হল সূর্যকুমার যাদবের মতো কেউ। ও দুর্দান্ত ফিনিশার। তাছাড়া ঋষভ পন্থও দারুণ ফিনিশার হতে পারে। হার্দিক পাণ্ড্যও দুর্দান্ত ফিনিশার হয়ে উঠতে পারে। আমি আবার বলছি, ফিনিশার হল এমন একজন যে ৮ বা ১২ ওভারে খেলা ধরে ২০ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করে।'



কবে শুরু


২৭ অগাস্ট থেকে শুরু হতে চলেছে এবারের এশিয়া কাপ (Asia Cup 2022)। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিনেই মুখোমুখি হচ্ছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে এবারের এশিয়া কাপ ২০ ওভারের ফর্ম্যাটে খেলা হবে। এই টুর্নামেন্টেই ভারতীয় দলের (Indian Cricket Team) সামনে এক সর্বকালীন রেকর্ড গড়ার সুযোগ রয়েছে।


রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল সদ্যই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৪-১ মাত দিয়েছে। তার আগে ইংল্যান্ডকেও তাদের ঘরের মাঠে ২-১ টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। ঘরের মাঠে এ বছরই ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং শ্রীলঙ্কাকেও পাঁচ ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে টিম ইন্ডিয়া। এর ফলে ভারতীয় দল ২০২২ সালে মোট ১৬টি ২০ ওভারের ম্যাচ জিতেছে।


এশিয়া কাপে রেকর্ড গড়ার হাতছানি


জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ১৮ অগাস্ট থেকে ভারতের তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ রয়েছে। এই সফরে কোনও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নেই। তাই এশিয়া কাপেই এরপর ভারতীয় দল আবার টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে খেলবে। সেই টুর্নামেন্টেই ভারতের সামনে বিশ্বরেকর্ড গড়ার হাতছানি। এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে ভারতীয় দল দুই ম্যাচ খেলবে। তারপর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সুপার চারে আরও তিন ম্যাচ খেলার কথা টিম ইন্ডিয়ার। সেখান থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর ফাইনালে পৌঁছলে এশিয়া কাপে মোট পাঁচটি ম্যাচ খেলবে ভারত।


এই পাঁচ ম্যাচের সবকয়টিতে যদি ভারতীয় দল জিততে পারে, তাহলেই তারা ভেঙে ফেলবে পাকিস্তানের এক সর্বকালীন রেকর্ড। টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে এক বছরে সর্বাধিক ২০ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড রয়েছে বর্তমানে পড়শি দেশের দখলে। গত বছরই বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানদল এই রেকর্ড গড়েছিল। ভারতের ২০২২ সালে জয়ের সংখ্যা ১৬। পাঁচ ম্য়াচ জিতলে তা গিয়ে দাঁড়াবে ২১-এ। অর্থাৎ, অপরাজিতভাবে এশিয়া কাপ জিততে পারলেই ভারত পাকিস্তানের রেকর্ড ভেঙে দেবে। বর্তমানে এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানেও রয়েছে পাকিস্তান। ২০১৮ সালে তারা মোট ১৭টি ২০ ওভারের ম্যাচ জিতেছিল।


আরও পড়ুন: এশিয়া কাপের দলে ফিরলেন কোহলি, রাহুল, সুযোগ পেলেন না শামি-কুলদীপ