শারজা: ভারতের বিরুদ্ধে পরাজয়ের পর এশিয়া কাপের (Asia Cup 2022) সুপার ফোরে কোয়ালিফাই করার জন্য হংকংয়ের বিরুদ্ধে জয় প্রয়োজন ছিল পাকিস্তানের (HK vs PAK)। ঠিক সেই কাজটাই দাপুটে মেজাজে করে দেখাল বাবর আজমের দল। ১৫৫ রানের বিরাট ব্যবধানে হংকংকে হারাল পাকিস্তান। শেষ দল হিসাবে সুপার ফোরেও জায়গা পাকা করে নিল তারা। এই জয়ের সুবাদে রবিবার ভারতের বিরুদ্ধে ফের মাঠে নামবে পাকিস্তান। 


বিনা লড়াইয়েই পরাজয় 


ভারতের বিরুদ্ধে হংকং বেশ লড়াই করেছিল, তবে জিততে পারিনি। পাকিস্তান এদিন নিজেদের ইনিংসে আগের ম্যাচে ভারতের থেকে এক রান বেশি ১৯৩ রান করে। তাই শুরু থেকেই হংকং ব্যাকফুটেই ছিল। তবে অনেকেই হংকংয়ের লড়াই দেখার জন্য মুখিয়ে ছিলেন। তবে প্রায় বিনা লড়াইয়েই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পরাজয় স্বীকার করে নিল হংকং। ১৯৪ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৩৮ রানেই গুটিয়ে গেল তারা। হংকংয়ের ব্যাটিং ধসের শুরুটা করেন ভারতের বিরুদ্ধে নজরকাড়া বোলিং করা নাসিম শাহ। একই ওভারে তিনি হংকং অধিনায়ক নিজাখাত খানকে আট ও বাবর হায়াতকে শূন্য রানে ফিরিয়ে দেন।


ইয়াসিম মুরতাজাকে ফেরান দাহানি। এরপরে পাকিস্তান স্পিনারদের দাপট। শাদাব খান ও মহম্মদ নওয়াজের দাপটে হংকং মাত্র আট রানের ব্যবধানে নিজেদের শেষ ছয় উইকেট হারায়। শাদাব তো একসময়ই হ্যাটট্রিকের সুযোগও পেয়েছিলেন। তবে হ্যাটট্রিক না হলেও, তিনি এদিন পাকিস্তানের সফলতম বোলার। চার উইকেট আসে তাঁর ঝুলিতে। নওয়াজ নেন তিন উইকেট। নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে ১৫৫ রানের আজকের এই জয়টিই পাকিস্তানের সবথেকে বড় ব্যবধানে জয়। ৩৮ রানে গুটিয়ে গিয়ে এশিয়া কাপ থেকে শারজার মাঠে সর্বনিম্ন স্কোরসহ একাধিক লজ্জার রেকর্ড গড়ল হংকং।


প্রথম ইনিংস


টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হং কং। লক্ষ্য, প্রথমে পাকিস্তানকে ব্যাট করতে দিয়ে কম রানে আটকে রাখা। তারপর লক্ষ্য দেখে সেই বুঝে অঙ্ক কষে ব্যাটিং করা। হং কং শুরুটা ভাল করেছিল। শুরুতেই পাকিস্তানের সেরা ব্যাটার তথা অধিনায়ক বাবর আজমকে মাত্র ৯ রানে ফিরিয়ে দেন এহসান খান। তবে তারপর খেলা ধরে নেন মহম্মদ রিজওয়ান ও ফকর জামান। হাফসেঞ্চুরি করেন ফকর। ৪১ বলে ৫৩ রান করে এহসান খানের বলেই আউট হন তিনি। 


তবে পাকিস্তানের রান ওঠার গতিতে লাগাম পরিয়ে রেখেছিলেন হং কংয়ের বোলাররা। একটা সময় ১২ ওভারে পাকিস্তানের স্কোর ছিল ৮৩/১। সেখান থেকে রান ওঠার গতি বাড়ান রিজওয়ান ও খুশদিল শাহ। রিজওয়ান ৫৭ বলে ৭৮ রান করে অপরাজিত রইলেন। খুশদিল ১৫ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন। শেষ ওভারে ৪ ছক্কা ও একটি চার মারেন পাক ব্যাটাররা। শুধু শেষ ওভারেই ওঠে ২৯ রান।


আরও পড়ুন: হংকংয়ের বিরুদ্ধে রাহুলের মন্থর ইনিংসের পিছনে ছিল ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনা?