দুবাই: ম্যাচে দুই দল ছিল যুযুধান প্রতিপক্ষ। ম্যাচ শেষ হওয়ার পরই খসে পড়ল প্রতিদ্বন্দ্বিতার বর্ম।


ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ হারার পর হং কং দল (Ind vs HK) টিম ইন্ডিয়ার ড্রেসিংরুমে পৌঁছে গিয়েছিল। যেখানে দলের খেলোয়াড়রা তাঁদের প্রিয় খেলোয়াড়দের সঙ্গে ছবি তোলার জন্য পোজ দেন। অটোগ্রাফও নেন। হং কং দলের ভারতীয় ড্রেসিংরুমে সময় কাটানোর একটি ভিডিও শেয়ার করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। যেখানে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, হার্দিক পাণ্ড্য, রাহুল দ্রাবিড়কে হং কংয়ের খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়।


ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছে, ‘মনে রাখার মতো একটি কথোপকথন। স্মরণীয় এবং শিক্ষণীয় স্মৃতি! ভারতীয় ড্রেসিংরুমে হং কং ক্রিকেটারদের সময় কাটানোর মুহূর্ত’।


 




সুপার ফোরে


প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর ৫ উইকেটে হারিয়েছিল ভারত। দ্বিতীয় ম্যাচে হং কংয়ের বিরুদ্ধে ৪০ রানে বিশাল জয় পেল টিম ইন্ডিয়া (Ind vs Honk Kong)। সেই সঙ্গে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে জায়গা করে নিলেন রোহিত শর্মারা। পাকিস্তান বনাম হং কং ম্যাচ থেকে এবার নির্ধারিত হবে, গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসাবে কারা সুপার ফোরে পৌঁছবে।


বুধবার হং কংকে ৪০ রানে হারাল ভারত (Team India)। প্রথমে ব্যাট করে ভারত তুলেছিল ১৯২/২। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারায় হং কং। এরপর তিন নম্বরে নেমে লড়াই চালিয়েছিলেন বাবর হায়াত। ৩৫ বলে ৪১ রান করেন তিনি। চার নম্বরে নেমে ২৮ বলে ৩০ রান করেন কিঞ্চিৎ শাহ। তবে হং কংয়ের বাকি ব্যাটাররা কেউই রান পাননি। শেষ দিকে জিশান আলি ১৭ বলে অপরাজিত ২৬ রান ও স্কট ম্যাকেশনি ৮ বলে অপরাজিত ১৬ রান করলেও,  শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৫২/৫ স্কোরে আটকে যায় হং কং। ভারত ৪০ রানে ম্যাচ জেতে। একপেশে ভাবেই। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে একটি করে উইকেট পেয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার, অর্শদীপ সিংহ, রবীন্দ্র জাডেজা ও আবেশ খান। বিরাট কোহলি এক ওভার হাত ঘুরিয়ে ৬ রান দিলেও কোনও উইকেট পাননি।


দুরন্ত সূর্য-কোহলি


তিনি ছন্দ হাতড়ে বেড়াচ্ছিলেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও বড় রান পাননি। মানসিকভাবে যে চাপে রয়েছেন, তা বিরাট কোহলির (Virat Kohli) একাধিক কথাবার্তায় প্রতিফলিত হচ্ছিল।


বুধবার এশিয়া কাপ -এ হং কংয়ের বিরুদ্ধে অবশ্য জ্বলে উঠল কোহলির ব্যাট। ঝকঝকে হাফসেঞ্চুরি করলেন। ধরে ফেললেন রোহিত শর্মাকে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বাধিক হাফসেঞ্চুরি করার নিরিখে। কোহলির মোট ৩১টি হাফসেঞ্চুরি হয়ে গেল। সমসংখ্যক হাফসেঞ্চুরি রয়েছে রোহিতেরও। তাঁদের পরে রয়েছেন বাবর আজম (Babar Azam)। পাকিস্তানের তারকার টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৭টি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে।


বুধবার কোহলির সঙ্গেই জ্বলে উঠলেন সূর্যকুমার যাদবও (Suryakumar Yadav)। শটের বৈচিত্রের জন্য যাঁকে বিশ্ব ক্রিকেটের নতুন মিস্টার থ্রি সিক্সটি ডিগ্রি বলা হচ্ছে। মাত্র ২২ বলে হাফসেঞ্চুরি করলেন সূর্য। তৃতীয় উইকেটে কোহলি-সূর্যকুমারের পার্টনারশিপ ম্যাচের রং পাল্টে দিয়ে গেল। হং কংয়ের আঁটসাঁট বোলিংয়ে একটা সময় মনে করা হচ্ছিল ভারতের দেড়শো পেরনোও কঠিন হবে। কিন্তু তৃতীয় উইকেট পার্টনারশিপে সব হিসেব উল্টে গেল। ভারত প্রথমে ব্যাট করে তুলেছিল ২ উইকেটে ১৯২ রান। তৃতীয় উইকেটে ৪২ বলে ৯৮ রান যোগ করেন কোহলি ও সূর্যকুমার।


৪৪ বলে ৫৯ রান করে অপরাজিত রইলেন বিরাট। তবে আরও বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন সূর্যকুমার। ২৬ বলে ৬৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন মুম্বইয়ের তারকা। ৬টি চার ও ৬টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। হং কং লড়াই করলেও, ভারতের রানের ধারেকাছে পৌঁছতে পারেনি।