কলম্বো: রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে ২ উইকেটে হেরে এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে পাকিস্তানের। সেই সঙ্গে আরও উদ্বেগের খবর শোনালেন বাবর আজ়ম (Babar Azam)। পাকিস্তানের অধিনায়ক ইঙ্গিত দিলেন, বিশ্বকাপের শুরুর দিকে না-ও পাওয়া যেতে পারে নাসিম শাহকে। যা পাকিস্তানের পেস বোলিং আক্রমণের কাছে ধাক্কা হতে পারে।


চোটের জন্য শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে খেলতে পারেননি নাসিম ও হ্যারিস রউফ। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি এখনও। কিন্তু পাক অধিনায়ক ইঙ্গিত দিলেন, বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের আগে নাসিম পুরোপুরি ফিট না-ও হয়ে উঠতে পারেন। তবে হ্যারিস সেরে উঠবেন, আশা বাবরের।


নাসিম ও হ্যারিসকে পাওয়া না গেলে পরিকল্পনা কী হবে? শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর বাবর বলেন, 'এটা পরে বলব। এখনই আমাদের প্ল্যান বি বলছি না। হ্যারিস রউফের অবস্থা খুব একটা খারাপ নয়। ওর সাইড স্ট্রেন রয়েছে। কিন্তু বিশ্বকাপের আগে সেরে উঠবে। নাসিম শাহ... ওরা কয়েকটা ম্যাচ খেলতে পারেনি। আমি জানি না কতদিনে সেরে উঠবে। তবে আমার মনে হয় ও বিশ্বকাপের পরের দিকে সেরে উঠবে। দেখা যাক।'


বৃহস্পতিবার জয়ের জন্য ৪২ ওভারে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে (PAK vs SL) শ্রীলঙ্কার লক্ষ্য ছিল ২৫২ রান। ম্যাচের শেষ বল পর্যন্ত চলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। তবে শেষমেশ দুই উইকেটে ম্যাচের শেষ বলে রুদ্ধশ্বাস জয় পেল শ্রীলঙ্কা। চরিথ আসালঙ্কা (Charith Asalanka) অপরাজিত ৪৯ রান করে শ্রীলঙ্কাকে ফাইনালে পৌঁছে দেন।


বড় রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এদিন কুশল পেরেরা শ্রীলঙ্কার হয়ে শুরুটা দুরন্তভাবে করেন। তবে শাদাব খানের দুরন্ত ফিল্ডিংয়ে রান আউট হয়ে আট বলে ১৭ রান করেই ফিরতে হয় তাঁকে। ২০ রানে প্রথম উইকেট হারালেও দ্বিতীয় উইকেটে পাথুম নিসাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস (Kusal Mendis) ৫৭ রানের পার্টনারশিপে শ্রীলঙ্কান ইনিংসকে স্থিরতা দেন। নিসাঙ্কা ২০ রানে আউট হওয়ার পর সাদিরা সামারাবিক্রমার সঙ্গে মিলে দ্বীপরাষ্ট্রের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যান মেন্ডিস।


তৃতীয় উইকেটে দুজনে শতরানের পার্টনারশিপ গড়েন। তবে অর্ধশতরানের দোরগোড়ায় সামারাবিক্রমাকে ফেরান ইফতিকার। শ্রীলঙ্কান মিডল অর্ডার ব্যাটার ৪৮ রানে আউট হন। মেন্ডিস নিজের শতরানের দিকে এগোচ্ছিলেন। তবে ৯১ রানে তাঁকেও সাজঘরের রাস্তা দেখান ইফতিকারই। শ্রীলঙ্কার মিডল অর্ডােরে ব্যাটিং ধস নামান ইফতিকার ও শাহিন শাহ আফ্রিদি। দাসুন শানাকা (২), ধনঞ্জয় ডি সিলভা (৫), দুনিথ ওয়ালালাগে (০), প্রমোদ মধুশান (১) সকলেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। একে একে ফেরেন সাজঘরে।


তবে অপরপ্রান্তে উইকেট পড়লেও, আসালঙ্কা মাথা ঠান্ডা রেখে নিজের কাজটি করে যান। ইনিংসের শেষ বল অবধি ক্রিজে টিকে থাকেন লঙ্কান মিডল অর্ডার ব্যাটার। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের শেষ ওভারের শেষ বলে দলকে কাঙ্খিত জয় এনে দেন তিনি।



আরও পড়ুন: রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ২ উইকেটে পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কা


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial