ফাইনালে পৌঁছলেও বাংলাদেশ দল চোট আঘাতে বিপর্যস্ত। তামিম ইকবাল প্রথম ম্যাচের পর থেকে টুর্নামেন্টের বাইরে, সুপার ফোর ম্যাচের আগে একইভাবে চোট পেয়ে বেরিয়ে গিয়েছেন শাকিব আল হাসান। বুধবারের পাকিস্তান ম্যাচ চলাকালীন চোটের কারণে বসে যান ফর্মে থাকা মুশফিকুর রহিম, তাঁর জায়গায় উইকেট কিপিং করেন লিটন দাস। যদিও এত সমস্যা সত্ত্বেও বাংলাদেশ দল পাকিস্তানকে হারাতে সক্ষম হয়েছে।
এশিয়া কাপে খেলছেন না ভারত তথা বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি। কিন্তু কোহলিকে ছাড়াই অনায়াসে এশিয়া কাপের ফাইনালে পৌঁছেছে ভারত। দলের সেরা ব্যাটসম্যানকে বাদ দিয়েই এশিয়া কাপ জিতে বিশ্বকাপের আগে প্রয়োজনীয় আত্মবিশ্বাস পেতে চায় তারা। সুপার ফোর ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টাই ম্যাচ বাদ দিলে বাকি টুর্নামেন্টে ভারতীয় দলের পারফরম্যান্স যথেষ্ট ভাল। ওপেনার জুটি অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও শিখর ধবন শুরুতেই দলের জন্য বড় রানের ভিত গড়ে দিচ্ছেন। রোহিত এখনও পর্যন্ত এই সিরিজে ২৬৯ রান করেছেন, শিখর করেছেন ৩২৭। উল্টোদিকে জশপ্রীত বুমরাহ, ভুবনেশ্বর কুমার ও যুজবেন্দ্র চাহালের বোলিং দলকে পাইয়ে দিচ্ছে জরুরি সময়ে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। বিশেষ করে বুমরাহের বল বিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা বুঝতেই পারছেন না।
এই এশিয়া কাপকে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি টুর্নামেন্ট হিসেবে দেখছে ভারতীয় ম্যানেজমেন্ট টিম। কিন্তু অম্বাতি রায়াডু সব ম্যাচে ভাল শুরু করলেও লম্বা ইনিংস খেলতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন, তা নিয়ে ভাবছে টিম ইন্ডিয়া। ফলে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের মাঝপথে হাল ধরতে পাঠানো হচ্ছে কেদার যাদব ও মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে। কিন্তু ধোনির ব্যাটিং ফর্ম খুব একটা ভাল নেই ফলে পরে ব্যাট করতে হলে ২৪০-এর বেশি রান তাড়া করা কঠিন হতে পারে।
বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ ৫০ ওভারের পক্ষে যথেষ্ট শক্তিশালী। পেসার মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন ও মাশরফি মোর্তাজা যে কোনও ব্যাটসম্যানকে কড়া চ্যালেঞ্জ দিতে পারেন। পাশাপাশি স্লো পিচের জন্য স্পিনার আক্রমণও তাদের বেশ মজবুত। ব্যাটিংয়ে মুশফিকুর রহিমের ওপর অনেকটা নির্ভর করছে তারা, আর এক ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহের সঙ্গে মিলে তিনি দলকে বহুবার সঙ্কটের হাত থেকে উদ্ধার করেছেন।