দুবাই: এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে বাংলাদেশকে উইকেটে হারাল ভারত। অধিনায়ক রোহিত শর্মার দাপুটে অপরাজিত ৮৩ রানের ইনিংসে ভর করে ভারত মাত্র ৩৬. ২ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
জয়ের জন্য ১৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রোহিত ও শিখর ধবনের ওপেনিং জুটি এই সহজ জয়ের ভিত গড়ে দেয়। তাঁরা ১৪.১ ওভারে ৬১ রান করেন। এরপর ৪০ রান করে সাকিব আল হাসানের বলে আউট হয়ে যান শিখর। ধবনের আউটের পর স্বমূর্তি ধারণ করেন রো-হিট। ছক্কা মেরে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি।এর আগে গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচেও হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।
তিন নম্বরে নেমে অম্বাতি রায়ডু ১৩ রান করে রুবেল হাসানের বলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। ১০৬ রানে দলের দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে। এরপর রোহিতের সঙ্গে প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের লক্ষ্যের কাছাকাছি নিয়ে যান। জয়ের জন্য যখন চার রান বাকি তখন ধোনি ৩৩ রান করে আউট হয়ে যান। এরপর ৮২ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রোহিত শর্মার দল। রোহিতের সঙ্গে দীনেশ কার্তিক অপরাজিত থাকেন।
ম্যান অফ দ্য ম্যাচ জাডেজা।
এর আগে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে দুরন্ত বোলিং করলেন রবীন্দ্র জাডেজা। তাঁর স্পিনের জালে বাঁধা পড়লেন বাংলাদেশের চার ব্যাটসম্যান। যার জেরে এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্যায়ের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে ৪৯.১ ওভারে ১৭৩ রানে অল আউট হল বাংলাদেশ।
এদিন টসে জিতে বিপক্ষকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। প্রথম থেকেই ভারতীয় বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের ফলে রান তুলতে কার্যত হিমশিম খেতে হয় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের। তারওপর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ে তারা। শেষ দিকে, মেহেদি হাসানের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের দৌলতে ১৭৩ রান করে বাংলাদেশ।
এদিন পঞ্চম ওভারে ওপেনার লিটন দাসকে আউট করে বাংলাদেশকে প্রথম ধাক্কা দেন ভূবনেশ্বর কুমার। পরের ওভারেই আরেক ওপেনার নাজমুলকে ফিরিয়ে দেন জসপ্রীত বুমরাহ। এরপর শুরু হয় রবীন্দ্র জাডেজার ম্যাজিক। জাড্ডুর ভেলকি এদিন কোনও বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানই ধরতে পারেননি। নিজের কামব্যাক ম্যাচে কার্যত একা হাতে বাংলাদেশ মিডল অর্ডার ধসিয়ে দেন তিনি।
এদিন ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ২৯ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট তুলে নেন জাডেজা। তিনটি করে উইকেট নেন বুমরাহ ও ভূবি। শেষ দিকে মেহেদি (৫০ বলে ৪২) তাঁর ঝোড়ো ব্যাটিং না করলে দলের স্কোর ভদ্রস্থ জায়গায় পৌঁছত না।
ভারতীয় দলে একটি পরিবর্তন করা হয়। ছিটকে যাওয়া হার্দিক পাণ্ড্যর জায়গায় প্রথম একাদশে আসেন রবীন্দ্র জাডেজা। অন্যদিকে, বাংলাদেশ দলে দুটি পরিবর্তন করা হয়। মমিনুল হক ও আবু হিদেরের জায়গায় দলে ফিরেছেন মুশফিকুর রহিম ও মুস্তাফিজুর রহমান।
এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক দুই দল-
ভারত- রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শিখর ধবন, অম্বাতি রায়ুডু, দীনেশ কার্তিক, মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, কেদার যাদব, রবীন্দ্র জাডেজা, ভূবনেশ্বর কুমার, কুলদীপ যাদব, যুযবেন্দ্র চহাল।
বাংলাদেশ- লিটন দাস, নাজমুল হোসেন, শাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মহম্মদ মিঠুন, মাহমুদুল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহদি হাসান মিরাজ, মাশরাফি মর্তুজা (অধিনায়ক), রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান।