নয়াদিল্লি: সদ্যসমাপ্ত এশিয়ান গেমসে পদক জিতে দেশে ফিরেছেন। কিন্তু, অন্য পদকজয়ী অ্যাথলিটের সঙ্গে একটাই ফারাক দিল্লির মজনু-কা-টিল্লা অঞ্চলের বাসিন্দা হরিশ কুমারের। কারণ, সেপাক তাকরো খেলায় ব্রোঞ্জ জিতে দেশে ফিরেই আবার আগের মতো বাবার চায়ের দোকানে বসে চা বেচতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। পদক তাঁর রোজনামচা জীবনে কোনও পরিবর্তন আনেনি। দৈনন্দিন সংগ্রাম আজও অটূট হরিশের।




তিনি বলেন, আমার পরিবারে অনেক লোক। অথচ, আয় কম। ফলত, আমাকে বাবার চায়ের দোকানে বসতে হয়। তাঁকে সাহায্য করতে হয়। তিনি যোগ করেন, প্রতিদিন দুপুর ২টো থেকে ৬টা আমি অনুশীলনের জন্য বরাদ্দ রাখি। এশিয়াড পদকজয়ী জানান, একদিন ভাল চাকরি করে পরিবারকে সাহায্য করতে চান তিনি।


হরিশ জানান, ২০১১ সালে তিনি এই সেপাকতাকরো খেলতে শুরু করেন। কোচ হেমরাজ তাঁকে উৎসাহ দেন। তিনি বলেন, আমরা প্রথমে টায়ার দিয়ে খেলতাম। সেই সময় কোচ আমাদের দেখে সাই-তে নিয়ে যান ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। সেখান থেকেই প্রতিমাসে টাকা ও ক্রীড়া সরঞ্জাম পেতে শুরু করি। হরিশ আশাবাদী, ভবিষ্যতেও তিনি দেশের হয়ে আরও পদক আনতে চান।