হাংঝাউ: এশিয়ান গেমসে (Asian Games) ভারতীয় অ্যাথলিটদের পদক জয়ের যাত্রা চলছে। মহিলাদের লং জাম্পে সোমবার রুপো জিতলেন ভারতের অ্যান্সি সোজ়ান (Ancy Sojan)। ৬.৬৩ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করেন ভারতীয় অ্যাথলিট। এটাই তাঁর ব্যক্তিগত সেরা লাফ।
মহিলাদের লং জাম্পের ফাইনালে উঠেছিলেন ভারতের শৈলি সিংহও। তবে সর্বোচ্চ ৬.৪৮ মিটার লাফ মারেন তিনি। পঞ্চম স্থানে শেষ করেন শৈলি।
সোমবার নিজের আগের রেকর্ড দুবার ভেঙেছেন অ্যান্সি। তৃতীয় প্রচেষ্টায় ৬.৫৬ মিটার লাফ মারেন তিনি। যা তাঁর কেরিয়ারের সেরা। তবে সেরাটা আসতে তখনও বাকি ছিল। পঞ্চম প্রচেষ্টায় ৬.৬৩ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করেন অ্যান্সি। ছাপিয়ে যান আগের রেকর্ডও। তবে চূড়ান্ত তথা ষষ্ঠ লাফে ফাউল করেন অ্যান্সি।
চিনের জ়িয়ং শিকি ৬.৭৩ মিটার লাফিয়ে সোনা জিতেছেন। ৬.৫০ মিটার লাফিয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছেন হং কংয়ের য়ুয়ে গা ইয়ান।
ভারতীয় অ্যাথলেটিক্সের জন্য় সুখবর বয়ে আনল সোমবারের হাংঝাউ। এশিয়ান গেমসে (Asian Games) ৪ X ৪০০ মিটার মিক্সড রিলে দৌড়ে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন ভারতের মহম্মদ আজমল, আর বিথ্যা রামরাজ, রাজেশ রমেশ ও শুভা বেঙ্কটেসান। তাঁরা সময় করেছিলেন ৩:১৪.৩৪ সেকেন্ড। শ্রীলঙ্কার প্রতিযোগীরা ৩:১৪.২৫ সেকেন্ড সময় করে রুপো জিতেছিলেন। ৩:১৪.০২ সেকেন্ড সময়ে দৌড় শেষ করে সোনা জিতেছিল বাহরিন।
সোমবার শ্রীলঙ্কার রুপো বাতিল হল। বলা হয়েছে, দৌড়ের লেন সীমানা অতিক্রম করেছেন শ্রীলঙ্কার স্প্রিন্টাররা। তাই ভারতের ব্রোঞ্জ পদক পাল্টে হল রুপো। ৩:১৪.৮৫ সেকেন্ড সময়ে দৌড় শেষ করা কাজাখস্তানের স্প্রিন্টাররা চার নম্বরে দৌড় শেষ করেছিলেন। তাঁদের ব্রোঞ্জ পদক দেওয়া হয়েছে।
সোমবার এশিয়ান গেমসের (Asian Games) মঞ্চে ব্রোঞ্জ জিতলেন বাংলার দুই খেলোয়াড়। মহিলাদের টেবিল টেনিসের দলগত বিভাগের সেমিফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের শেষে হেরে গিয়ে ব্রোঞ্জ পদক নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হল ঐহিকা মুখোপাধ্যায় ও সুতীর্থা মুখোপাধ্যায়কে। যদিও এশিয়া মঞ্চে পদক তালিকায় নাম তুলে ইতিহাসের পাতায় জায়গা পাকা করে ফেললেন দুই বঙ্গতনয়া। প্রসঙ্গত, এশিয়ান গেমসের নবম দিনে এটি ভারতের তৃতীয় ব্রোঞ্জ। পাশাপাশি এশিয়ান গেমসের ইতিহাসে টেবিল টেনিসের মঞ্চেও ভারতের এই নিয়ে তৃতীয় ব্রোঞ্জ পদক এটিই।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial
আরও পড়ুন: স্পিনারদের হাতে আফগানিস্তানের বিশ্বকাপ ভাগ্য, তিক্ত অভিজ্ঞতা ভুলতে পারবেন রশিদরা?