জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে ভূমিকম্প (Earthquake in Bengal)। সন্ধে ৬.১৫: জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে ভূমিকম্প। ভূমিকম্পের উৎস মায়ানমার, রিখটার স্কেলে তীব্রতা ৫.১। চিন, নেপাল, ভূটান, বাংলাদেশের একাংশেও ভূমিকম্প। কয়েক সেকেন্ডের ভূমিকম্প, এখনও ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই।


কেঁপে উঠেছিল উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা


প্রসঙ্গত, গতবছরের শুরুতে কেঁপে উঠেছিল উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে কম্পন অনুভূত হয়েছিল সেবার। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.২। রাতে আচমকা কম্পন বুঝতে পেরে আতঙ্কে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা গিয়েছিল স্থানীয়দের। তবে কয়েক সেকেন্ডই কম্পন স্থায়ী হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন তাঁরা। 


গতবছর ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল ভুটান


তখন ঘড়ির কাটায় রাত ৮টা বেজে ১৬ মিনিট । আচমকাই কম্পন অনুভূত হয়েছিল উত্তরবঙ্গে। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই মোটামুটি কম্পন অনভূত করেছিলেন বাসিন্দারা। জানা গিয়েছিল,  ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল ভুটান। থিম্পু থেকে ৪৮ কিমি দক্ষিণ পশ্চিমে, ভূৃগর্ভের ১০ কিলোমিটার নীচে থেকে কম্পন ছড়িয়ে পড়ে। 


'প্রকৃতির রোষে প্রাণ ওষ্ঠাগত হওয়ার জোগাড়'


জলপাইগুড়ির এক বাসিন্দা জানিয়েছিলেন, রাস্তার উপর বাড়ি তাঁদের। বড় গাড়ি গেলে বাড়ি কাঁপছে বলে মনে হয়। এ দিনও প্রথমে তেমনটাই ভেবেছিলেন তাঁরা। কিন্তু কম্পন কিছু ক্ষণ স্থায়ী হওয়ায় সন্দেহ হয় তাঁদের। বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। তার পরই জানতে পারেন ভূমিকম্প হয়েছে বলে।  করোনা থাবা সেবার কাটিয়ে না উঠতেই ভূমিকম্প, সবমিলিয়ে প্রকৃতির রোষে প্রাণ ওষ্ঠাগত হওয়ার জোগাড় বলে জানিয়েছিলেন তিনি। 


একুশ সালে শেষ দফার ভোট চলাকালীন ভূমিকম্প  উত্তরবঙ্গে


এর আগে, একুশ সালে জুলাই মাসে উত্তরবঙ্গে ভূমিকম্প হয়। সে বার রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.২। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, বালুরঘাট-সহ আশেপাশের জেলায় কম্পন অনুভূত হয়। সে বার কম্পনের উৎসস্থল ছিল মেঘালয়।তারও আগে, এপ্রিলে, শেষ দফার ভোট চলাকালীন ভূমিকম্প হয় উত্তরবঙ্গে।


আরও পড়ুন, দিল্লিতে তৃণমূলের ধর্না ঘিরে ধুন্ধুমার, জুতো হারালেন সুজিত ! ফোন হারালেন শান্তনু


বিজ্ঞানীদের দাবি, আগামী দিনে আরও বাড়বে ভূমিকম্প


সে বার কম্পনের উৎসস্থল ছিল অসমের শাণিতপুর। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৪। সে বারও প্রাণহানি ঘটেনি।তবে বাংলা, অসম বা মেঘালয়ই নয়, গত বছর একাধিক রাজ্যে ভূমিকম্প হতে দেখা গিয়েছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, আগামী দিনে আরও বাড়বে ভূমিকম্প। এর জন্য জলবায়ু পরিবর্তন এবং উষ্ণায়ণকে দায়ী করছেন তাঁরা।