হাংঝাউ: ছিল ব্রোঞ্জ, হয়ে গেল রুপো!
ভারতীয় অ্যাথলেটিক্সের জন্য় সুখবর বয়ে আনল সোমবারের হাংঝাউ। এশিয়ান গেমসে (Asian Games) ৪ X ৪০০ মিটার মিক্সড রিলে দৌড়ে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন ভারতের মহম্মদ আজমল, আর বিথ্যা রামরাজ, রাজেশ রমেশ ও শুভা বেঙ্কটেসান। তাঁরা সময় করেছিলেন ৩:১৪.৩৪ সেকেন্ড। শ্রীলঙ্কার প্রতিযোগীরা ৩:১৪.২৫ সেকেন্ড সময় করে রুপো জিতেছিলেন। ৩:১৪.০২ সেকেন্ড সময়ে দৌড় শেষ করে সোনা জিতেছিল বাহরিন।
সোমবার শ্রীলঙ্কার রুপো বাতিল হল। বলা হয়েছে, দৌড়ের লেন সীমানা অতিক্রম করেছেন শ্রীলঙ্কার স্প্রিন্টাররা। তাই ভারতের ব্রোঞ্জ পদক পাল্টে হল রুপো। ৩:১৪.৮৫ সেকেন্ড সময়ে দৌড় শেষ করা কাজাখস্তানের স্প্রিন্টাররা চার নম্বরে দৌড় শেষ করেছিলেন। তাঁদের ব্রোঞ্জ পদক দেওয়া হয়েছে।
সোমবার এশিয়ান গেমসের (Asian Games) মঞ্চে ব্রোঞ্জ জিতলেন বাংলার দুই খেলোয়াড়। মহিলাদের টেবিল টেনিসের দলগত বিভাগের সেমিফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের শেষে হেরে গিয়ে ব্রোঞ্জ পদক নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হল ঐহিকা মুখোপাধ্যায় ও সুতীর্থা মুখোপাধ্যায়কে। যদিও এশিয়া মঞ্চে পদক তালিকায় নাম তুলে ইতিহাসের পাতায় জায়গা পাকা করে ফেললেন দুই বঙ্গতনয়া। প্রসঙ্গত, এশিয়ান গেমসের নবম দিনে এটি ভারতের তৃতীয় ব্রোঞ্জ। পাশাপাশি এশিয়ান গেমসের ইতিহাসে টেবিল টেনিসের মঞ্চেও ভারতের এই নিয়ে তৃতীয় ব্রোঞ্জ পদক এটিই।
সেমিফাইনালে হারলেও প্রবল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বাংলার দুই অ্যাথলিট যে লড়াই মেলে ধরেছিলেন তা তারিফ করার মতোই। প্রথম গেমে ১১-৭ ব্যবধানে লিডও নেন ঐহিকা মুখোপাধ্যায় ও সুতীর্থা মুখোপাধ্যায়ের (Ayhika Mukherjee and Sutirtha Mukherjee) জুটি। যদিও উত্তর কোরিয়ার প্রতিপক্ষ সুয়ং চা ও সুয়ং পাকের জুটি পরের গেমেই ৮-১১ ব্যবধানে তাঁদের হারিয়ে খেলায় সমতা ফেরায়। হেরে গেলেও হতেদ্যম না হয়ে ১১-৭ গেমে ফের পরের ম্যাচে জেতে তারা। তুল্যমূল্য লড়াইয়ে ৯-১১ ও ৮-১১ ফলে পরের দুটো গেমে পিছিয়ে পড়লেও দুরন্ত কামব্যাকে ১১-৫ ব্যবধানে পরের গেম জেতেন তারা। টানটান লড়াই গড়ায় শেষ গেমে। যেখানে অবশ্য ২-১১ ফলে হেরে ৩-৪ গেমের ব্যবধানে ম্যাচে হেরে যান তাঁরা। কিন্তু ম্যাচে হারলেও যে দুরন্ত টেবিল টেনিস তাঁরা উপহার দিলেন, তা দেখে তাঁদের তারিফই করছেন সকলে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial
আরও পড়ুন: স্পিনারদের হাতে আফগানিস্তানের বিশ্বকাপ ভাগ্য, তিক্ত অভিজ্ঞতা ভুলতে পারবেন রশিদরা?