বুসান: এশিয়ান কবাডি চ্যাম্পিয়নশিপে টানা ২টো ম্যাচ জিতল ভারত। জোড়া ম্যাচ জিতেই নিজেদের টুর্নামেন্টের অভিযান শুরু করল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। মঙ্গলবার টুর্নামেন্টের প্রথম দিনেই দক্ষিণ কোরিয়া ও চাইনিস তাইপেইয়ের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নেয় ভারতীয় কবাডি দল। এই ২ জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলেও প্রথম দিনে শীর্ষে রয়েছে ভারত। আগামী বুধবার জাপানের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে ভারত। এরপর বৃহস্পতিবার তাদের প্রতিপক্ষ ২০০৩ সালের চ্যাম্পিয়ন ইরান।


টুর্নামেন্টের আয়োজক কোরিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেই দুর্দান্ত শুরু করেছিল ভারত। নবীন কুমারের বদলি হিসেবে এদিন ভারতের হয়ে অভিষেক হয়েছিল আসলাম ইমানদারের। তিনি দেশের হয়ে সুপার ১০ স্কোর করে ভারতকে জয় ছিনিয়ে নিতে সাহায্য করেন। শেষ পর্যন্ত ম্যাচে বিশাল ব্যবধানে ৭৬-১৩ জয় ছিনিয়ে নেয় ভারত। প্রথম অর্ধে ভারত টানা ৯টি পয়েন্ট ঝুলিতে নিয়ে নিয়েছিল। প্রথমার্ধের শেষে ৪০-৪ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল ভারত। 


চাইনিস তাইপেইয়ের বিরুদ্ধেও প্রায় একপেশে লড়াই শেষেই জয় নিশ্চিত করে ভারত। ৫৩-১৯ ব্য়বধানে জয় ছিনিয়ে নেয় ভারত তাদের দ্বিতীয় ম্য়াচে। 


বিশ্বকাপ নিয়ে কী বলছেন রোহিত?


এ বছরের শেষের দিকে অক্টোবর, নভেম্বর মাসেই ভারতে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের আসর (ICC World Cup 2023) বসতে চলেছে। সেই বিশ্বকাপের সূচি আজ, মঙ্গলবার, ২৭ জুনই সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। ৫ অক্টোবর, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের ম্যাচের মাধ্যমে এ বারের বিশ্বকাপের সূচনা হবে। ভারতের প্রথম ম্যাচ চেন্নাইয়ের চিপকে ৮ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণার পরেই নিজের প্রতিক্রিয়া দিলেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)।এক দশক আগে ভারতীয় দল শেষবার কোনও আইসিসি ট্রফি জিতেছিল। ভারতীয় সমর্থকরা আশা করবেন যে আসন্ন বিশ্বকাপেই সেই অপেক্ষার যেন অবসান ঘটে। ঘরের মাঠে শেষবার ২০১১ সালে টিম ইন্ডিয়াই কিন্তু বিশ্বখেতাব জিতেছিল। তাই স্বাভাবিকভাবেই রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন দলের থেকে খেতাব জয়ের প্রত্যাশা থাকবেই। রোহিত আশা করছেন ঘরের মাঠে ভারতীয় দল সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে।


 


তিনি বলেন, 'ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলার জন্য আমি মুখিয়ে আছি। এক দারুণ অভিজ্ঞতা হতে চলেছে। ১২ বছর আগে এখানেই তো ভারতীয় দল খেতাব জিতেছিল এবং আমি জানি গোটা দেশের জনগণ আমাদের মাঠে নামার অপেক্ষায় রয়েছেন। আমি নিশ্চিত এই বিশ্বকাপে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে কারণ খেলার গতি অনেকটাই বেড়েছে এবং সব দলই অতীতের থেকে এখন অনেক বেশি ইতিবাচক ক্রিকেট খেলে। এটা কিন্তু গোটা বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্যই দারুণ সুখবর। আশা করা যায়, সকলেই এই বিশ্বকাপে বেশ কিছু রোমাঞ্চকর মুহূর্তের সাক্ষী থাকবেন। আমরা ভালভাবে প্রস্তুতি সেরে অক্টোবর, নভেম্বর মাসে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।'