রামগড়: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোখার জন্য দেশজুড়ে লকডাউন জারি করা হলেও, তাতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কমেনি। উল্টে রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ার জেরে চরম সমস্যায় পড়েছেন কোটি কোটি মানুষ। তাঁদেরই একজন ঝাড়খণ্ডের প্রতিভাবান অ্যাথলিট গীতা কুমারী। তাঁর আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছে, রাস্তায় বসে সবজি বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। তাঁর এই দুরবস্থার খবর পেয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তাঁর নির্দেশে গীতাকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন রামগড়ের ডেপুটি কমিশনার সন্দীপ সিংহ। তিনি আরও জানিয়েছেন, অ্যাথলেটিকস থেকে যাতে এই তরুণীকে সরে যেতে না হয়, তার জন্য তাঁকে প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।

রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছেন গীতা। তিনি হাঁটা প্রতিযোগিতায় আটটি সোনা পেয়েছেন। কলকাতায় অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় একটি করে রুপো ও ব্রোঞ্জ পেয়েছেন। এই প্রতিভাবান অ্যাথলিট যাতে আর্থিক কারণে হারিয়ে না যান, তার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।

রামগড়ের ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন, ‘রামগড়ে বেশ কয়েকজন ক্রীড়াবিদ আছেন যাঁরা দেশকে সম্মান এনে দিতে পারেন। প্রশাসন তাঁদের পাশে থাকবে এবং সবরকম সাহায্য করবে।’

গীতার আত্মীয় ধনঞ্জয় প্রজাপতি জানিয়েছেন, ‘হাজারিবাগের আনন্দ কলেজে বিএ চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রী গীতা। ওর পরিবার আর্থিকভাবে দুর্বল। সেই কারণেই ও সবজি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতেও গীতা নিজের লক্ষ্য থেকে সরে যেতে নারাজ। প্রশাসন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় ও খুব খুশি।’

এর আগে ধানবাদের ক্রীড়াবিদ সোনু খাতুনকেও আর্থিক সাহায্য দেয় ঝাড়খণ্ড সরকার। জাতীয় স্তরের এই তীরন্দাজ অভাবের তাড়নায় গীতার মতোই সবজি বিক্রি করতে বাধ্য হন। সে কথা জানতে পেরে পাশে দাঁড়ায় প্রশাসন।