অক্ষয়ের সঙ্গে ‘সৌগন্ধ’, ‘ইক্কে পে ইক্কা’-র মতো ছবিতে অভিনয় করেন শান্তিপ্রিয়া। তিনি ওই সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি স্কিন কালারড স্টকিংস পরতাম। একদিন শ্যুটিংয়ের সময় অক্ষয় মজার ছলে বলে, আমার হাঁটু স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কালো দেখতে লাগছে। ও বারবার বলতে থাকে, আমার হাঁটুতে রক্ত জমাট বেঁধে আছে। ওর সেই কথা শুনে সহ-অভিনেতা এবং সেখানে থাকা অন্য ব্যক্তিরা হাসতে থাকেন। যদিও অক্ষয় মজার ছলেই সে কথা বলেছিল, তা সত্ত্বেও আমার অস্বস্তি হচ্ছিল। আমার মনে ওই ঘটনার গভীর প্রভাব পড়েছিল। আমি অনেক কেঁদেছি। কিন্তু কোনওদিন মুখে ফেয়ারনেস ক্রিম লাগাইনি।’
ওই সাক্ষাৎকারে শান্তিপ্রিয়া আরও বলেন, ‘অক্ষয় আমার ভাল বন্ধু। আমি এখানে কোনওরকম অভিযোগ করছি না। তবে আমি সবাইকে বলতে চাই, কারও গায়ের রং নিয়ে রসিকতা করলে তার কতটা আঘাত লাগে, সেটা বুঝতে হবে। আমার বোন ভানুপ্রিয়ার গায়ের রং ইন্ডাস্ট্রি গ্রহণ করেনি বলে ওকে বলিউড ছাড়তে হয়। আমি যখন বলিউডে কাজ করতে আসি, তখন গায়ের রংই সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে যায়। আমাকে অনেক বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে। আমার আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আমি দিশাহার হয়ে পড়েছিলাম। কিছুদিন পরে আমার ছবি ফ্লপ হয় এবং তার ফলে কেরিয়ার শেষ হয়ে যায়।’
এই সাক্ষাৎকার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর ট্যুইট করে শান্তিপ্রিয়া বলেন, ‘আমি স্পষ্ট জানাতে চাই, অক্ষয় খেলার ছলেই আমার উদ্দেশে ওই মন্তব্য করেছিল। ওর সেই কথা বেশ কিছুদিন আমার মনে গেঁথে থাকলেও, আমি বিশ্বাস করি, ও আমাকে আঘাত করতে চায়নি বা যন্ত্রণা দিতে চায়নি। আমি ওর কাজের গুণগ্রাহী। ওকে ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানাই।’
জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী শান্তিপ্রিয়া দক্ষিণ ভারতে শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। বলিউডে ‘দোস্তি দুশমনি’, ‘কসম বর্দি কি’, ‘ভাবি’ সহ বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। তবে তাঁর পক্ষে বেশিদিন বলিউডে কাজ করা সম্ভব হয়নি।