মোহালি: প্রয়াত ভারতীয় ভলিবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা কিংবদন্তী অ্যাথলিট মিলখা সিংহর স্ত্রী নির্মল কউর। করোনা আক্রান্ত হয়ে মোহালির এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। চিকিৎসা চলাকালেই মৃত্যু হল তাঁর। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৫।


গত ১৯ মে তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, আমরা গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে তীব্র লড়াইয়ের পর আজ বিকেল চারটেয় প্রয়াত হয়েছেন নির্মল মিলখা সিংহ।


নির্মল কউর পঞ্জাব মহিলা ক্রীড়ার ডিরেক্টর ছিলেন। তিনি ভারতীয় ভলিবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক।স্ত্রীর মতো মিলখা সিংহও করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। গত ৫ জুন হেল্থ বুলেটিনে জানানো হয়েছিল, মিলখার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। যদিও তাঁর স্ত্রী নির্মল কউরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। 


রবিবার রাতে চণ্ডীগড়ে পিজিআইএমইআর ডিরেক্টর জগন রাম মিলখা সিংহর স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মিলখা সিংহর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তাঁর শরীরে অক্সিজেন স্যাচুরেশন মাত্রাতেও উন্নতি হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর মিলখা সিংহকে পিজিআইএমইআরে ভর্তি করা হয়েছিল।


করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মিলখা। পরে তাঁর স্ত্রীও করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে মিলখা সিংহ কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠায় হাসপাতাল থেকে বাড়ি গিয়েছিলেন। তবে শরীরে অক্সিজেন মাত্রার আচমকা পতন হওয়ায় ফের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় কিংবদন্তিকে। 


এরইমধ্যে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই থামল নির্মল কউরের। আজ প্রয়াত হলেন তিনি।


এশিয়ান গেমসে চারবারের সোনাজয়ী, কমনওয়েথ গেমসে চ্যাম্পিয়ন মিলখা সিংহের ট্র্যাকে সবথেকে বড় কৃতিত্ব ১৯৬০ সালের রোম অলিম্পিক্সে। যেখানে অল্পের জন্য পদক পাননি ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা স্প্রিন্টার। ইতালির রাজধানীতে যে সময়ে ৪০০ মিটার দৌড় শেষ করেছিলেন মিলখা, সেটি দীর্ঘ ৩৮ বছর ধরে কায়েম ছিল। ১৯৯৮ সালে পরমজিৎ সিংহ সেই রেকর্ড ভাঙেন। ১৯৫৬ ও ১৯৬৪ অলিম্পিক্সেও দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন মিলখা। ১৯৫৯ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন তিনি।