কলকাতা: যুবভারতী স্টেডিয়ামে ওড়িশা এফসি-কে ২-০ গোলে হারিয়ে দিয়ে সেমিফাইনালে চলে গেল এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। ম্যাচের শুরু থেকে বলে দখল বেশি থাকলেও সেভাবে ওপেন করতে পারছিল না সবুজ মেরুন। ওড়িশা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ব্লক করে আটকে দিচ্ছিল সবুজ মেরুন ফুটবলারদের। ১১ মিনিটেই গোড়ালিতে লেগে উঠে গেলেন মোহনবাগানের আশিক কুরুনিয়ান। তাঁর জায়গায় নিয়ে আসা হয় লিস্টনকে।


ম্যাচের ৩৬ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় খুয়ান ফেরান্দোর দল। দিমিত্রির কর্নার ফ্লিক করলেন মনবীর। হুগো বুমৌস বাঁ পায়ের শটে বল জালে পাঠালেন। দ্বিতীয় গোল পেল মোহনবাগান ৫৮ মিনিটে। এবার নাম লেখালেন দিমিত্রি। কার্ল একটা বল কেড়ে নিয়ে বাড়িয়েছিলেন। দিমিত্রি ডান পায়ের জোরাল শটে বল পাঠিয়ে দেন জালে। এই নিয়ে চলতি লিগে ৯ গোল হয়ে গেল তার। 


ম্যাচের ৫৯ মিনিট। ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে দুই গোলে এগিয়ে থেকে চালকের আসনে তখন এটিকে মোহনবাগান। স্বভাবতই খুশি সল্টলেকের গ্যালারি। হঠাৎ করে দুর্ঘটনা। বল ধরতে গিয়ে মাঠের মধ্যেই লুটিয়ে পড়লেন মোহনবাগানের গোলকিপার বিশাল কাইথ। শেষ অবধি যদিও নিজের পায়ে হেঁটেই অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য যান তিনি। তবে সেমিফাইনালের আগে নিশ্চিত ভাবেই চিন্তায় রাখলেন এটিকে মোহনবাগানকে। 


এদিন শুরু থেকেই দাপটের সঙ্গে খেলেছে মোহনবাগান। তবে ডিফেন্সে যথেষ্ট আঁটসাঁট ছিল ওড়িশা। প্রথম গোলটা বুমৌস করার পরেই আলগা হয়ে যায় ওড়িশার রাশ। তার কিছু পরেই ব্যবধান বাড়ান পেত্রাতোস। তারপর ম্যাচ থেকে পুরোপুরি হারিয়ে যায় ওড়িশা।                                         


সেমিফাইনালে হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে খেলতে হবে মোহনবাগানকে। দুই লেগে হবে এই সেমিফাইনাল। ৯ ও ১৩ মার্চ এই দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ম্যাচের আগে বিশাল সুস্থ হতে পারেন কি না, সেটাই দেখার।             


সেমিফাইনালে ঘরের মাঠে এবং বিপক্ষের মাঠে খেলবে দলগুলি। ৯ মার্চ মোহনবাগান খেলবে হায়দরাবাদের মাঠে। সবুজ-মেরুনের ঘরের মাঠে খেলা ১৩ মার্চ। দুই লেগ মিলিয়ে যে দল এগিয়ে থাকবে তারাই খেলবে ফাইনাল। অন্য সেমিফাইনালে মুখোমুখি বেঙ্গালুরু এফসি এবং মুম্বই সিটি। সেই ম্যাচগুলি হবে ৭ এবং ১২ মার্চ। আইএসএলের ফাইনাল ১৮ মার্চ।


আরও পড়ুন: তেরি আঁখে ভুলভুলাইয়া... ডব্লিউপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মাতালেন কিয়ারা