ফতোরদা: রয় কৃষ্ণর মতো একজন স্ট্রাইকার থাকলে কোনও দলেরই জয় নিয়ে বিশেষ চিন্তা থাকে না। এটিকে মোহনবাগানের ক্ষেত্রে ঠিক সেটাই হয়েছে। এবারের আইএসএল-এর প্রথম ম্যাচ থেকেই দলকে কার্যত একাই জিতিয়ে চলেছেন ফিজির এই স্ট্রাইকার। নতুন বছরে প্রথম ম্যাচেও তার ব্যতিক্রম হল না। নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে গোল করলেন কৃষ্ণ। তাঁর দল জিতল ২-০ গোলে। অপর একটি গোল আত্মঘাতী। এদিনের জয়ের পর ৯ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের শীর্ষে এটিকে মোহনবাগান।


আজকের দিনটা বাংলার ফুটবলপ্রেমীদের জন্য জোড়া আনন্দের। আজ প্রথম ম্যাচে ওড়িশা এফসি-কে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে আইএসএল-এ প্রথম জয় পেয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। তারপর এদিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সহজ জয় পেল এটিকে মোহনবাগান। কলকাতার দুই দলই জয় পেল। ফলে নতুন বছরের উপহার পেলেন বাংলার ফুটবলপ্রেমীরা।

আজ প্রথমার্ধে গোল পায়নি এটিকে মোহনবাগান। কৃষ্ণ, প্রবীর দাসরা অবশ্য গোল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু নর্থ ইস্টের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হন। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য সেই প্রতিরোধ বজায় রাখা সম্ভব হয়নি। ৫১ মিনিটে অসাধারণ হেডে প্রথম গোল করেন কৃষ্ণ। এরপর ৫৭ মিনিটে আত্মঘাতী গোল করে বসেন বেঞ্জামিন ল্যাম্বট। ২ গোলে পিছিয়ে পড়ে নর্থ ইস্টের পক্ষে আর ম্যাচে ফিরে আসা সম্ভব হয়নি। কৃষ্ণরাও অবশ্য ব্যবধান বাড়াতে পারেননি।

চলতি আইএসএল-এর শুরু থেকেই দারুণ খেলছে এটিকে মোহনবাগান। প্রথম ম্যাচে ১-০ গোলে জয়ে একমাত্র গোল ছিল কৃষ্ণরই। এরপর এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জয় পায় অ্যান্টনিও লোপেজ হাবাসের দল। এই জয় গোটা দলের আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়ে দেয়। এখনও পর্যন্ত ৯ ম্যাচের মধ্যে ৬টি ম্যাচেই জয় পেয়েছে এটিকে মোহনবাগান। হার মাত্র একটি ম্যাচে এবং ড্র দু’টি ম্যাচে। এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে কৃষ্ণরা কতটা ভাল ফর্মে আছেন।

কৃষ্ণ, প্রবীর দাস ছাড়াও ভাল খেলছেন গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য, সন্দেশ ঝিঙ্গান, প্রীতম কোটাল, তিরি, ডেভিড উইলিয়ামসরা। ফলে এবারও দল চ্যাম্পিয়ন হবে বলে আশায় সমর্থকরা। এখনও এই প্রতিযোগিতায় অনেক ম্যাচ বাকি। তবে এটিকে মোহনবাগান যে ফর্মে আছে, তাতে সমর্থকরা আশায় থাকতেই পারেন। ইস্টবেঙ্গলও যদি আজকের ফর্ম বজায় রাখতে পারে, তাহলে পরের ডার্বি জমে যাবে। সেটারই আশায় ফুটবলপ্রেমীরা।