কলকাতা: ডুরান্ড কাপে (Durand Cup) যুবভারতীতে রাজস্থান ইউনাইটেডের (Rajasthan United) বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে আজই নিজেদের মরসুম শুরু করে এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। ম্যাচে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আক্রমণ করেও শেষমেশ ৯৫ মিনিটের গোলে খালি হাতে মাঠ ছাড়তে হল সবুজ-মেরুনকে। ৩-২ স্কোরলাইনে এটিকে মোহনবাগানকে হারাল রাজস্থান।


কিংবদন্তি বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রয়াণে এক মিনিটের শোকজ্ঞাপনের মাধ্যমে শুরু হয় ম্যাচ। ম্যাচের শুরুতেই ফ্লোরেন্তিন পোগবা মোহনবাগানের হয়ে জালে বল জড়িয়ে দিলেও, তা অফসাইডের জন্য বাতিল করা হয়। কিয়ান নাসিরিও সাত মিনিটে গোল করার একটি ভাল প্রয়াস করেন। ম্যাচের ১১তম মিনিটে জনি কাউকোর দুরন্ত পাস থেকে গোলকিপারকে সঙ্গে ১ বনাম ১ পেয়েগিয়েছিলেন লিস্টন কোলাসো। তবে অভূতপূর্বভাবে তিনি গোলের বহু বাইরে বল মারেন। প্রথম আধা ঘণ্টা কার্যত মোহনবাগান আক্রমণ বনাম রাজস্থান রক্ষণেরই খেলা চলে।  


১-১ শেষ প্রথমার্ধ


শেষমেশ লাগাতার আক্রমণের সুফল পায় সবুজ-মেরুন। আশিক কুর্নিয়ানের সুন্দর বল থেকে কার্যত ফাঁকা গোলে বল জড়িয়ে দেন কিয়ান নাসিরি। তবে প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই আক্রমণ শুরু করে ম্যাচে সমতায়ও ফেরে রাজস্থান। তাদের হয়ে গোল করেন বক্তুর। কাউকো প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে জোরালো হেডারে মোহনবাগানকে এগিয়ে দিতেই পারতেন। তবে রাজস্থান গোলরক্ষক নীরজ দুরন্তভাবে তা রুখে দেন। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ স্কোরলাইনে। তবে দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সবুজ-মেরুন জার্সিতে নিজের অভিষেক ম্যাচে অ্যাসিস্টের পর গোলও করেন কুর্নিয়ান। ২-১ ফের একবার এগিয়ে যায় সবুজ-মেরুন।


এগিয়ে গেলেও আক্রমণ থামায়নি এটিকে মোহনবাগান। নীরজ বেশ কয়েকটি ভাল সেভ করেন। ৬০ মিনিটে ম্যাচে রামসাঙ্গার ট্যাপ-ইনে আবারও সমতায় ফেরে রাজস্থান। তবে এরপরেই ম্যাচে বলের রাশ মোহনবাগানের দখলেই ছিল। কাউকো মাঝমাঠ থেকে খেলা নিয়ন্ত্রণ করেন। ৮২ মিনিটে কিয়ান নাসিরি ফের একবার গোল করার বড় সুযোগ পান। তবে গোল হয়নি। ফের দুরন্ত সেভ করেন রাজস্থান গোলকিপার। ৮৯ মিনিটে অবশ্য সবুজ মেরুন গোলকিপার অর্শর বড় ভুলে জালে বল জড়ায় রাজস্থান। কিন্তু তা অফসাইডের জন্য বাতিল হয়।


মনবীরের সুযোগ নষ্ট


ইনজুরি টাইমেও আশিস রাই সবুজ-মেরুনের হয়ে গোল করার সুযোগ পেয়ে তা নষ্ট করেন। ম্যাচের শেষের কয়েক মিনিটে মনবীর সিংহ, যতগুলি গোল করার সুযোগ পান, তাতে তাঁর হ্যাটট্রিক হয়েই যেতে পারত। তবে সব সুযোগই নষ্ট করেন তিনি। শেষমেশ সুযোগ হাতছাড়া করার খেসারত দিতে হয় সবুজ মেরুনকে। ম্যাচের ইনজুরি টাইমের পঞ্চম তথা শেষ মিনিটে গাইমার রাজস্থানের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন। খালি হাতে মাঠ ছাড়ে সবুজ-মেরুন।


আরও পড়ুন: ডুরান্ড কাপের দল ঘোষণা করল মোহনবাগান, কারা সুযোগ পেলেন?