গোয়া: আইএসএলে পরপর ২ ম্যাচে হারের মুখ দেখতে হয়েছে। ডার্বিতে জয়ের পর থেকে আর জয়ের মুখ দেখতে পারেনি এটিকে মোহনবাগান (atk mohunbagan) শিবির। মুম্বই সিটির (mumbai city) বিরুদ্ধে ৫-১ এ বিশাল ব্যবধানে ও এরপর জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ২-১ ব্যবধানে হার। রক্ষণে এত দুর্বলতা কেন দেখা যাচ্ছে? সেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে কোচ অ্যান্টানিও লোপেজ হাবাসকে। কাল চেন্নাইয়িন এফসির বিরুদ্ধে নামছেন রয় কৃষ্ণরা। তার আগের দিন হাবাসের মুখে রক্ষণ ও আক্রমণভাগের দুর্বলতার প্রসঙ্গ। কী বললেন এটিকে মোহনবাগান কোচ? দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।
গত দুই ম্যাচে আপনার রক্ষণের পারফরম্যান্সে কি আপনি উদ্বিগ্ন?
শুধু রক্ষণের পারফরম্যান্স নিয়ে আমি ভাবি না, পুরো দল নিয়েই ভাবতে হয়। আমাদের রক্ষণ ও আক্রমণের মধ্যে ওঠা-নামা ঠিকমতো হচ্ছে না। পুরো ম্যাচে আমাদের নিখুঁত ভাবে খেলতে হবে। ৪৫ মিনিট বা ১০ থেকে ৩০ মিনিট ভাল খেললে চলবে না। পুরো ৯০ মিনিটই ভাল খেলতে হবে।
সন্দেশ ঝিঙ্গন চলে যাওয়ার পরে কোনও নতুন ডিফেন্ডারকে আনা হয়নি। এ বার তিরিরও চোট। সে জন্যই কি রক্ষণ দুর্বল হয়ে পড়েছে?
ফুটবলে এ ভাবে তুলনা করাটা ঠিক নয়। বিশেষ করে যে এখানে নেই, তার সঙ্গে। এখানে যে খেলোয়াড়রা আছে, তাদের নিয়েই আমি বেশি ভাবনা-চিন্তা করি।
রয় কৃষ্ণা, হুগো বুমৌস ও জনি কাউকোর মতো অ্যাটাকার থাকতেও গোল পেতে সমস্যা হচ্ছে আপনার দলের। এটা মনস্তাত্বিক, না টেকনিক্যাল সমস্যা?
দলের ভারসাম্যই আমার কাছে আসল কথা। প্রথম দুই ম্যাচে আমরা সেরা দল ছিলাম। কারণ, সেই দুই ম্যাচে সাত গোল করেছিলাম আমরা। কিন্তু এখন আমরা গোল করতে পারছি না। ম্যাচে এবং আমাদের খেলায় ভারসাম্যই হচ্ছে আসল কথা। এটা হারিয়ে গেলে একটা সেরা দল দশ দিনের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ দলে পরিণত হতে পারে। আমাদের সেই ভারসাম্যই ফিরিয়ে আনতে হবে।
এসসি ইস্টবেঙ্গল যেখানে চেন্নাইন এফসি-র বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করেছে, সেখানে আপনারা কি ওদের হারাতে পারবেন?
দু’টো ম্যাচ কখনও একই রকম হতে পারে না। এসসি ইস্টবেঙ্গল এক দল আর আমরা অন্য দল। চেন্নাইনের বিরুদ্ধে আমরা যখন মাঠে নামব, তখন সেটা সম্পুর্ণ আলাদা একটা ম্যাচ।
পরপর দু’টি ম্যাচে হারের পর কি আপনার মনে হয় রক্ষণ বিভাগকে আরও শক্তিশালী করে তোলা উচিত?
আমাদের দলে সঠিক ভারসাম্য আনতে হবে। আমরা ৪৫ মিনিট ঠিকমতো খেলছি, অথচ পরের ৪৫ মিনিট ঠিক খেলতে পারছি না। আমাদের সব রকম পরিস্থিতি বুঝতে হবে, (গোল খেলে) গোল শোধ করতে হবে।