ভারতীয় দলের হয়ে নিয়মিত খেলা সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার আনোয়ার আলি যোগ দিলেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টে। অর্থাৎ আগামী মরশুমে তাঁকে মাঠে দেখা যাবে সবুজ-মেরুন জার্সিতে। রবিবার ক্লাবের পক্ষ থেকে সরকারি ভাবে এই খবর ঘোষণা করা হল।


পাঞ্জাব থেকে উঠে আসা ২২ বছর বয়সী এই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার সম্প্রতি ভারতীয় দলের রক্ষণে বড় ভরসা হয়ে উঠেছেন। সন্দেশ ঝিঙ্গনের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি ভারতীয় দলের রক্ষণে যথেষ্ট ভাল পারফরম্যান্সও দেখান। গত মরশুমে দিল্লি এফসি থেকে লোনে তিনি এফসি গোয়ার হয়ে খেলেন এবং হিরো আইএসএলেও নজর কাড়ার মতো পারফরম্যান্স দেখান। হিরো আইএসএলে এফসি গোয়ার জার্সি গায়ে কুড়িটি ম্যাচ ও সুপার কাপে দু’টি ম্যাচ খেলেন তিনি।


দেশের সেরা ফুটবল লিগে তাঁর পারফরম্যান্স দেখে ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিমাচ তাঁকে জাতীয় শিবিরে ডেকে নেন এবং নিয়মিত প্রথম এগারোয় খেলানও। গত বছর মে-তে আন্তর্জাতিক অভিষেক হওয়ার পরে ভারতীয় দলের হয়ে এ পর্যন্ত ১৬টি ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে তাঁর। দলের হয়ে একটি গোলও করেন এই সুযোগসন্ধানী ডিফেন্ডার। তবে সদ্যসমাপ্ত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে একটি আত্মঘাতী গোলও হয়ে যায় তাঁর পা থেকে।


মোহনবাগান সুপার জায়ান্টে যোগ দেওয়ার পরে তিনি ক্লাবের মিডিয়াকে বলেন, “কলকাতার ক্লাবের হয়ে খেলার স্বপ্ন ছোটবেলা থেকেই দেখতাম। মোহনবাগান তো দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ক্লাব। কত কিংবদন্তি ফুটবলার খেলে গিয়েছেন এই ক্লাবের হয়ে। সেই সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে মাঠে নামব ভেবেই আমি ৃ রোমাঞ্চিত। ক্লাবের সমর্থকদের প্রচুর মেসেজ পেয়েছি। আমাকে নিয়ে তাদের আগ্রহ দেখে আমি আপ্লুত”।


একসময় তাঁর হৃদযন্ত্রের সমস্যার জন্য সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন তাঁর মাঠে নামার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কিন্তু আনোয়ার আদালতের শরণাপন্ন হয়ে সেই নিষেধাজ্ঞা বাতিল করিয়ে ফের মাঠে নামেন এবং এখন তিনি দেশের অন্যতম সফল ফুটবলার।


মিনার্ভা পাঞ্জাব অ্যাকাডেমি থেকে উঠে আসা আনোয়ার প্রথম স্ট্রাইকার হিসেবে খেললেও পরের উচ্চতার জন্য এবং দলের প্রয়োজনে কোচেদের পরামর্শে স্টপার হিসেবে খেলতে শুরু করেন। ফলে রক্ষণ সামলানোর পাশাপাশি তাঁর গোল করারও সহজাত দক্ষত রয়েছে। পাসও করেন যথেষ্ট ভাল। জাতীয় অনূর্ধ্ব ২০ দলের হয়ে আর্জেন্তিনার বিরুদ্ধে গোল করেন তিনি। জাতীয় সিনিয়র দলের হয়ে হংকংয়ের বিরুদ্ধে গোল করেছেন।


গতবারের হিরো আইএসএল চ্যাম্পিয়ন দলে যোগদান প্রসঙ্গে আনোয়ার বলেন, “মোহনবাগান এসজি এ বার যা দল গড়েছে, তাতে এই ক্লাবে থেকে অনেক কিছু শিখতে পারব। সেরা দলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটা আমার কাছে চ্যালেঞ্জ। নিজের সেরাটা দিয়ে সকলের আশা পূরণ করার চেষ্টা করব”।