এই ম্যাচে কয়েকটি পরিবর্তন করে দু দল। সেমি-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ইয়ান হিউমকে না খেলালেও, এদিন তাঁকে শুরু থেকেই নামিয়ে দেন কলকাতার কোচ মলিনা। অন্যদিকে, সেমি-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে দিল্লি ডায়নামোজের বিরুদ্ধে টাইব্রেকারে কেরালা ব্লাস্টার্সকে জেতানোর পরেও ফাইনালে সুযোগ পাননি অভিজ্ঞ গোলকিপার সন্দীপ নন্দী।
খেলার শুরু থেকেই একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা করছিল। ৩৭ মিনিটে কর্নার থেকে হেডে গোল করে কেরালাকে এগিয়ে দেন মহম্মদ রফি। ৪৪ মিনিটে একইভাবে কর্নার থেকে হেডে গোল করে খেলায় সমতা ফেরান কলকাতার সেরেনো। প্রথমার্ধের খেলা ১-১ অবস্থায় শেষ হয়।
প্রথমার্ধের মতোই দ্বিতীয়ার্ধেও লড়াই চালাতে থাকেন মেহতাব-হিউমরা। কিন্তু এই অর্ধে কোনও দলই গোল করতে পারেনি। ফলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। লালরিন্দিকা রালতে বারবার বিপজ্জনক হয়ে উঠছিলেন। গোলের জন্য ছটফট করছিলেন হিউম, বোরহা ফার্নান্ডেজরা। কিন্তু তাতেও অতিরিক্ত সময়ে গোলের দরজা খোলেনি। ফলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে বাজিমাত করল কলকাতা। নায়ক হলেন গোটা টুর্নামেন্টে অসাধারণ খেলা গোলকিপার দেবজিৎ মজুমদার এবং টাইব্রেকারে শেষ শটে গোল করা জুয়েল রাজা।
এই ম্যাচ ঘিরে ফুটবল উন্মাদনার ছবি দেখল কেরল। দর্শকদের চাপ সামাল দিতে বিকেল তিনটেতেই খুলে দেওয়া হয় গেট। মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই গ্যালারির ৬০ শতাংশ আসন ভর্তি হয়ে যায়। বাকি আসন ভর্তি হতেও বেশি সময় লাগেনি। ফুটবলপ্রেমীদের কথা ভেবে একাধিক জায়গায় জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানেও বহু মানুষ জড়ো হন।