হ্যামিল্টন: নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ খেলতে হ্যামিল্টন পৌঁছে গেল ভারতীয় দল। অকল্যান্ড থেকে হ্যামিল্টন – পুরো রাস্তাটাই বাসে করে গেলেন ক্রিকেটারেরা। আর সেই বাস সফরকে মজাদার করে তুলল ‘চাহাল টিভি’। সতীর্থদের সঙ্গে খুনসুটি করলেন যুজবেন্দ্র চাহাল। আর সেই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, প্রত্যেক মুহূর্তে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির অভাব টের পান তাঁরা।


চাহাল আক্ষেপ করেন যে, দলের এক ক্রিকেটার কখনও তাঁর অনুষ্ঠানে হাজির হননি। তিনি মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। চাহাল বাসের পিছনের কোণের একটি নির্দিষ্ট আসনের কাছে গিয়ে বলেন, ‘একজন চাহাল টিভিতে আসার জন্য ছটফট করত। আমি নিষেধ করেছিলাম। বলেছিলাম, এখনই নয়। পরে তোমাকে ডাকব। এই আসনে যে কিংবদন্তি বসত, সেই মাহি ভাইয়ের কথা বলছি। এখানেই বসত। এই আসনে এখন আর কেউ বসে না। ওর অভাব আমরা খুব টের পাই।’ ভারতীয় বোর্ড থেকে জানানো হয়েছে, ধোনি যে আসনে বসতেন, টিমবাসে সেই আসনটি সংরক্ষিত থাকে এখন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই চাহাল কথা বলেন যশপ্রীত বুমরাহর সঙ্গে। জানান, বিশ্বকাপ পরবর্তী অধ্যায়ে সম্ভবত প্রথমবার তাঁর অনুষ্ঠানে তারকা পেসারের সঙ্গে কথা বলতে পারছেন। খুনসুটি করে বলেন, বুমরাহকে অতিথি হিসাবে আনতে অনেক টাকা খরচ হয় বলেই অনেকদিন পর সেই সুযোগ পেয়েছেন। চাহালের প্রশ্নে বুমরাহ জানান যে, তিনি প্রথমবার নিউজিল্যান্ডে গিয়েছেন। দেশটা খুব ভাল লাগছে। দারুণ অভিজ্ঞতা। চাহাল জানতে চান, কেন তাঁর সঙ্গে ডিনারে যাচ্ছেন না বুমরাহ। আমদাবাদের পেসার বলেন, ‘আমি তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ি। আমার সঙ্গে ডিনার করতে হলে অনেক তাড়াতাড়ি খেতে হবে। ’

ঋষভ পন্থ জানান, গোটা দল মানসিকভাবে দারুণ জায়গায় রয়েছে। এরপর চাহাল কথা বলেন মহম্মদ শামির সঙ্গে। বাংলার পেসার জানান, তিনি প্রথমবার নিউজিল্য়ান্ডে এসেছিলেন ২০১২ সালে। চাহাল মজা করে বলেন, ‘আমরা যখন দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখতাম, তখন তুমি খেলে ফেলেছো।’



কেএল রাহুল বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড ভীষণ সুন্দর দেশ। প্রচুর সবুজ। সুন্দর প্রকৃতি।’ কুলদীপ যাদব বলেন, ‘আমি ট্রেকিং করতে ভালবাসি। নিউজিল্যান্ডে সেই সুযোগ রয়েছে।’