মেলবোর্ন: সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে অজিরা। আজ থেকে পাকিস্তানের (Pakistan Cricket Team) বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে নামল অস্ট্রেলিয়া (Australia Cricket Team)। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে প্রথম দিনের খেলা শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ১৮৭ রান তুলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া (Australia Cricket Team)। টপ অর্ডার ফিরে গেলেও ক্রিজে আছেন মার্নাস লাবুশেন। তিনি ৪৪ রান করে অপরাজিত রয়েছেন। অন্যদিকে তাঁর সঙ্গ দিচ্ছেন ট্রাভিস হেড (Travis Head)। তিনি ৯ রান করে ক্রিজে আছেন। 


এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাক অধিনায়ক শান মাসুদ। ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার ও উসমান খাওয়াজা। নিজের শেষ টেস্ট সিরিজ খেলতে নেমেছেন ওয়ার্নার। আগের টেস্টে শতরান হাঁকিয়েছিলেন। এদিন অবশ্য ভাল শুরু করেও ৩৮ রান করে ফিরতে হয় তাঁকে। আগা সালমনের বলে বাবর আজমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। উসমান খাওয়াজা যদিও ছন্দে ছিলেন এদিনও। তাঁক নিয়ে সম্প্রতি বিতর্ক হচ্ছে। কাল ব্যান্ডে শান্তির বার্তা দিতে গিয়ে আইসিসির কোপের মুখে পড়েছেন। তবে ব্য়াট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ৪২ রানের ইনিংস খেললেন ৩৭ বছরের এই বাঁহাতি তারকা। হাসান আলির বলে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে নিজের নামে ৫টি বাউন্ডারি ঝুলিতে পুরে নিয়েছিলেন তিনি।


এরপর স্মিথ ও লাবুশেন মিলে দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। স্মিথ এদিন ২৬ রান করে আমের জামালের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে যান। তবে লাবুশেনকে দিনের শেষে ফেরাতে পারেনি পাক বোলিং বাহিনী। এখনও পর্যন্ত মাত্র ৩টি বাউন্ডারি হাঁকালেও ১২০ বল খেলে ক্রিজে সেট হয়ে গেছেন তিনি।


 উল্লেখ্য়, জুতোয় বিশেষ বার্তা লেখায় ছিল নিষেধাজ্ঞ। সেই কারণেই ব্যাটে শান্তির বার্তা হিসাবে ঘুঘু পাখির ছবি লাগাতে চেয়েছিলেন। তবে উসমান খাওয়াজার (Usman Khawaja) সেই অনুরোধও খারিজ করে দিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা আইসিসি। এর পরেই আইসিসির বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিলেন অস্ট্রেলিয়ার (Australia Cricket Team) তারকা ব্যাটার।   


ম্যাচের আগের দিন খাওয়াজা নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও আপলোড করেন যেখানে তিনি একাধিক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের ব্যাট হাতে ছবি দেন। এই ছবির বিশেষত্ব হল যে এই ছবিগুলিতে তারকাদের হাতে যে ব্যাট রয়েছে তাতে বিশেষ চিহ্ন রয়েছে। নিজের পোস্টের খাওয়াজা 'ডবল স্ট্যান্ডার্ড' এবং 'ইনকনসিসটেন্ট', এই দু'টি হ্যাশটাগ দেন। নাম না করলেও, খাওয়াজা যে আইসিসির বিরুদ্ধেই দ্বিচারিতা এবং ধারাবাহিকতার অভাবের অভিযোগ এনেছেন, তা বলাই বাহুল্য।