সিডনি: তালিবানদের উদ্দেশে এবার ফতোয়া জারি করল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে তাঁরা। সেই মর্মে এক বিবৃতি জারি করল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তাঁদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল যে আফগানিস্তানে যদি মহিলা ক্রিকেটের অনুমতি না দেওয়া হয়, তবে পুরুষ আফগানিস্তান দলের সঙ্গেও আসন্ন টেস্ট ম্যাচে অংশ নেবে না অজিরা।
গত বুধবার তালিবানের তরফে জানানো হয় মহিলাদের ক্রিকেটসহ অন্য়ান্য ক্রীড়াক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। এরপরেই ক্রীড়ামন্ত্রী রিচার্ড কোলবেক সহ একাধিক অস্ট্রেলিয়ান মন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন মহিলাদের ওপর এই বিধিনিষেধের পর টেস্ট ম্যাচ খেলা আর সম্ভব নয়। হোবার্টে রশিদের বিরুদ্ধে লাল বলের ক্রিকেটে প্রথমবার মাঠে নামার কথা ছিল অজি দলের। তবে তাসমানিয়া ক্রিকেট কর্তারা এমন পরিস্থিতিতে ম্যাচ আয়োজনে আগ্রহী নয়।
আফগানিস্তান ক্রিকেট খেলা শুরু করেছিল তাদেরই আমলে। আফগানিস্তানের ক্রিকেটকে তাই কোনওরকম সমস্যায় পড়তে হবে না, বরং সবরকম সমর্থন করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিল তালিবানরা। আফগানিস্তানের জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে তালিবানরা দেখা করেছিল বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, সেই বৈঠকে ছিলেন আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হাসমাদুল্লাহ শাহিদি ও প্রাক্তন নির্বাচক আসাদুল্লা ও নুর আলি জর্দান। জানা গিয়েছে, সেই বৈঠকে তালিবানদের অন্যতম মুখপাত্র আনাস হাক্কানি দাবি করে যে, রশিদ খান, মহম্মদ নবিদের ক্রিকেট খেলতে কোনও সমস্যা হবে না।
আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডেও কোনও রদবদল করেনি তালিবানরা। আজিজুল্লাহ ফজলিকেই আফগান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। ট্যুইট করে এমনটাই জানিয়েছে আফগান ক্রিকেট বোর্ড। আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে তালিবান। সেই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের দফতরেও ঢুকে পড়েছে তারা। তবে ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান হিসেবে থাকছেন আজিজুল্লাহ-ই। যদিও দেশের ক্রিকেটের সদর দফতরে সশস্ত্র তালিবানদের দেখে শিহরিত হয়েছেন অনেকে। যদিও ক্রিকেটে বাধা না দেওয়ার কথাই বলছে তালিবানরা।
কিন্তু মহিলা ক্রিকেট বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করার পরই ফের নিন্দার ঝড় ওঠে। সেই মতোই এবার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার তরফেও ফতোয়া জারি করে দেওয়া হল। এখন দেখার তালিবানরা কোন পদক্ষেপ নেয়।