ব্রিসবেন: এমনটা এর আগে কখনও হয়েছে কিনা জানা নেই। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে থেকেও কোনও দল ডিক্লেয়ার দিয়ে দিয়েছে তাঁদের ইনিংস। হাতে এক উইকেট থাকা সত্ত্বেও। এমনটাই হল অস্ট্রেলিয়া বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ গোলাপি বলের টেস্টে। প্রথম ইনিংসে ক্যারিবিয়ানরা ৩১১ রান বোর্ডে তুলেছিল। জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে অজিদের বোর্ডে স্কোর যখন ২৮৯/৯, তখন ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দিলেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। 


ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩১১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে এদিন অস্ট্রেলিয়ার একটা সময় ৫৪ রানের ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। উসমান খাওয়াজা বাদে অজি টপ অর্ডারের কোনও ব্যাটারই রান পাননি। ওপেনিংয় নেমে ফের ব্যর্থ স্টিভ স্মিথ। তিনি ৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন। লাবুশেন ৩ ও গ্রিন ৮ রানের ইনিংস খেলেন। ট্রাভিস হেড খাতা খোলার আগেই ফিরে যান। একটা সময় ক্যারিবিয়ান পেসার কেমার রোচের সামনে হ্যাটট্রিক গড়ার হাতছানি ছিল। কিন্তু সেখান থেকে খাওয়াজার সঙ্গে জুটি বাঁধেন অ্যালেক্স ক্য়ারি। অজি বাঁহাতি ওপেনার এদিন ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন। ১৩১ বলের ইনিংসে ১০টি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। লোয়ার অর্ডারে অধিনায়ক প্যাট কামিন্স দলকে ভরসা জোগান। খাওয়াজা ফিরে গেলে ক্যারির সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিনি। ৭৩ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন অজি অধিনায়ক। নিজের অপরাজিত ইনিংসে ৮টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান কামিন্স। নাথান লিয়ঁ ১৯ রান করেন। শেষ উইকেট হাতে থাকলেও লিয়ঁ আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইনিংস ডিক্লেয়ার ঘোষণা করে দেন কামিন্স। আসলে গাব্বার দ্বিতীয় দিনে বিকেলের ফ্লাডলাইটে ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং অর্ডারের পরীক্ষা নেওয়াই ছিল মূল লক্ষ্য। স্টার্ক, কামিন্স, হ্যাজেলউডের বিরুদ্ধে গোলাপি বলে দিনের শেষ কয়েক ওভার কতটা সামাল দিতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, তা দেখার। ক্যারিবিয়ান বোলারদের মধ্যে আলজারি জোসেফ ৪ উইকেট নেন। রোচ ৩ উইকেট নেন। কেভিন সিলক্লেয়ার নিজের প্রথম টেস্টে ১ উইকেট নেন।


এদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিংয়ে শেষ চার উইকেটে ক্যারিবিয়ানরা যোগ করলেন ৯৮ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর পিছনে বড় অবাদন কাভেম হোজ (৭১), জোসুয়া ডা সিলভা (৭৯), কেভিন সিনক্লিয়ার (৫০) আলজারি জোসেফ (২২ বলে ৩২ রান)-এর। ক্যারিবিয়ানদের লোয়ার অর্ডার ভাঙতে অস্ট্রেলিয়ার মোট আটজন বল করলেন। ৮২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিলেন কামিন্স। জো হ্যাজেলউড ও ন্যাথন লিঁয় ২টি করে উইকেট নিলেন।