সিডনি: ক্রিকেট বিশ্বে শোকের আবহ। আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন কিংবদন্তি লেগস্পিনার শেন ওয়ার্ন (Shane Warne)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি লেগস্পিনার ছিলেন তাইল্যান্ডে। সেখানেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন বলে সূত্রের খবর।
ওয়ার্নের ব্যবসায়িক দিক দেখাশোনা করত যে সংস্থা, তাদের তরফে ছোট্ট বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, তাইল্যান্ডের সামুইয়ের কো-তে ছিলেন কিংবদন্তি। সেখানেই তিনি মারা গিয়েছেন বলে ওই বিবৃতিতে নিশ্চিত করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১৪৫ টেস্টে ৭০৮ উইকেট নিয়েছেন ওয়ার্ন। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে তিনি বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। শ্রীলঙ্কার মুথাইয়া মুরলীধরনের পরেই। মুরলীধরন টেস্টে ৮০০ উইকেট নিয়েছেন। সেরা বোলিং ৭১ রানের বিনিময়ে ৮ উইকেট। একটা সময় বিশ্বকে শাসন করেছেন তিন স্পিনার। মুরলী, ওয়ার্ন ও ভারতের অনিল কুম্বলে। তিনজনের মধ্যে কে বিশ্বের সেরা, তা নিয়ে তর্কের ঝড়ও উঠেছে।
অনেকেই মনে করেন, শতাব্দীর সেরা বলটি বেরিয়েছিল ওয়ার্নের হাত থেকে। যে ডেলিভারিতে তিনি মাইক গ্যাটিংকে বোল্ড করেছিলেন। টেস্টের পাশাপাশি ওয়ান ডে-তেও একইরকম সাফল্য। ১৯৪টি ওয়ান ডে ম্যাচ খেলে ২৯৩ উইকেট নিয়েছিলেন ওয়ার্ন। ওয়ান ডে-তে তাঁর সেরা বোলিং ৩৩ রানে ৫ উইকেট। সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০১টি উইকেট নিয়েছেন লেগস্পিনার।
একটা সময় সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে ওয়ার্নের দ্বৈরথ বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা আকর্ষণ ছিল। তবে ১৯৯৮ সালের সফরে ব্যাট হাতে ওয়ার্নের ঘূর্ণির বিরুদ্ধে দুরন্ত পারফর্ম করেন সচিন। সেই সফরে সচিনের হাতে মার খেয়ে ওয়ার্নের সেই বিখ্যাত উক্তি। বলেছিলেন, স্বপ্নের মধ্যেও নাকি দেখছেন সচিন ব্যাট হাতে তাঁকে ওড়াচ্ছেন মাঠের বাইরে।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলেননি। কিন্তু ক্রিকেটের এই ফর্ম্যাটেও তিনি যে কতটা কার্যকরী আর সফল ছিলেন, তা বোঝা যায় একটি তথ্য থেকেই। প্রথম আইপিএলে তাঁর নেতৃত্বেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। নেতৃত্বের একটা আলাদা ঘরানা তৈরি করে দিয়েছিলেন ওয়ার্ন। তাঁর মৃত্যুতে বিশ্বে শোকের ছায়া।