কলকাতা: বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (Bengal Olympic Association) সভাপতি পদে লড়াইয়ে হার স্বপন ওরফে বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Babun Banerjee)। যাঁর আর এক পরিচয়, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর ভাই। ৪৫ ভোট পেয়ে সভাপতি পদে জয়ী বিরোধী গোষ্ঠীর চন্দন রায়চৌধুরী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছেন ২০টি ভোট। বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পদে বড় ব্যবধানে হার বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
বেঙ্গল অলিম্পিক সংস্থার নির্বাচর ঘিরে উত্তেজনার পারদ ছিল ঊর্ধ্বমুখী। শুক্রবার ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়। মোট ৬৮ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দেন ৬৭ সদস্য। এক ভোটার ব্যক্তিগত কারণে আসতে পারেননি। ৬৭ ভোটারের মধ্যে ম্যাজিক ফিগার ছিল ৩৪। অর্থাৎ, ৩৪ ভোট পেলে বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মসনদে বসা নিশ্চিত ছিল।
মুখ্যমন্ত্রীর ভাই স্বপন ওরফে বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছেন ২০টি ভোট। তাঁর বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট পদে লড়াই করছিলেন যিনি, সেই চন্দন রায়চৌধুরী পেয়েছেন ৪৫ ভোট। একটি ভোট বাতিল হয়েছে। বড় ব্যবধানে হার হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইয়ের। ২০১৬ সালে এই চন্দন রায়চৌধুরীকে হারিয়েই বিওএ-তে পদে এসেছিলেন বাবুন। চন্দর বেঙ্গল রোয়িং অ্যাসোসিয়েশনের সচিবও।
শুধু প্রেসিডেন্ট পদেই নয়, সচিব পদেও ভরাডুবি হয়েছে বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোষ্ঠীর। বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সচিব পদে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাবুনের গোষ্ঠীর প্রার্থী ছিলেন কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়। তিনিও হেরে গিয়েছেন। তিনিও পেয়েছেন ২০ ভোট। সচিব পদে বিরোধী গোষ্ঠীর প্রার্থী ছিলেন জহর দাস। তিনি পেয়েছেন ৪১টি ভোট। এই পদেও বিদায়ী শাসক গোষ্ঠীর প্রার্থী হেরে গিয়েছেন।
মোট ১৪টি পদে নির্বাচন ছিল। তার মধ্যে কোষাধ্যক্ষ পদে কমল মৈত্র বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই জিতে গিয়েছেন। বাকি ১৩টি পদের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ও সচিব পদে পরাজয় বিদায়ী শাসক গোষ্ঠীর কাছে বিরাট ধাক্কা।
ভোটের আগেই বাবুন অভিযোগ করেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর দাদা অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় বিওএ নির্বাচনে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন। যদিও অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে নির্বাচনে লড়াই করেননি। নির্বাচন কমিশনার হিসাবে তিনি ছিলেন। তাঁর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বাবুন। তারপর থেকেই ময়দান সরগরম ছিল।
আরও পড়ুন: বন্ধুর প্রেমের প্রস্তাবে রাজি, স্নেহাশিস-কন্যার নতুন ইনিংস, খুশির হাওয়া সৌরভের পরিবারে