নয়াদিল্লি: ভারতের মাটিতে নতুন নজির গড়ল বাংলাদেশ। প্রথমবার ভারতের বিরুদ্ধে কোনও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতল টাইগাররা। রবিবার দিল্লিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ তারা জিতল ৭ উইকেটে।

বাংলাদেশের জয়ের নায়ক মুশফিকুর রহিম। ভারতের ১৪৬ রান তাড়া করতে নেমে অভিজ্ঞ মুশফিকুর চাপের মুখে ৪৩ বলে ৬০ রান করে অপরাজিত ছিলেন। তিনিই ম্যাচের সেরা হয়েছেন। তিন বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

স্মগ ও দিল্লির দূষণের জন্য ম্যাচ আদৌ হবে কি না, তা নিয়েই দেখা দিয়েছিল সংশয়। তবে ক্রিকেটভক্তদের স্বস্তি দিয়ে নির্ধারিত সময়েই শুরু হয়েছিল ফিরোজ শাহ কোটলায় ভারত বনাম বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। প্রথমে ব্যাট করে ভারত তুলেছিল ৬ উইকেটে ১৪৮ রান। বাংলাদেশ বোলারদের আঁটসাঁট বোলিংয়ের সামনে প্রথমে ব্যাট করে ভারতীয় ক্রিকেটারেরা দুর্দান্ত কিছু করতে পারেননি। টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশ। শুরুতেই অধিনায়ক রোহিত শর্মার উইকেট হারায় ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ থেকেই দুরন্ত ছন্দে ছিলেন রোহিত। রবিবার তিনি শুরুটা করেছিলেন দুরন্তভাবে। প্রথম ওভারেই বাংলাদেশের পেসার সইফুল ইসলামকে দুটো বাউন্ডারি মারেন। যদিও ওই ওভারেরই শেষ বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান বিরাট কোহলির অনুপস্থিতিতে এই সিরিজে ভারতকে নেতৃত্ব দেওয়া রোহিত। রিভিউ করালেও তাঁর আউটের সিদ্ধান্ত বদলায়নি।

প্রথম ওভারে অধিনায়ককে হারালেও সামলে ওঠার চেষ্টা করেছিল ভারত। ব্যাট হাতে লড়াই করলেন শিখর ধবন। ৪২ বলে ৪১ রান করেন দিল্লির বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। দিল্লির আর এক ক্রিকেটার ঋষভ পন্থ ২৬ বলে ২৭ রান করেন। শ্রেয়স আইয়ার ১৩ বলে ২২ রান করেন। শেষ দিকে চালিয়ে খেলে ক্রুণাল পাণ্ড্য ৮ বলে ১৫ রান ও ওয়াশিংটন সুন্দর ৫ বলে ১৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমে শিবম দুবে মাত্র এক রান করে ফেরেন। বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট সইফুল ইসলাম ও আমিনুল ইসলামের।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই লিটন দাসের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে এরপরই খেলা ধরে নেন অভিষেক ম্যাচে খেলতে নামা মহম্মদ নঈম (২৮ বলে ২৬ রান) ও সৌম্য সরকার (৩৫ বলে ৩৯ রান)। চার নম্বরে নেমে মুশফিকুর ভারতের স্বপ্নভঙ্গ ঘটালেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও একটি ছক্কা। অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ ৭ বলে ১৫ রান করে অপারিজত ছিলেন।

ম্যাচের পর রোহিত বলেন, 'বাংলাদেশের কৃতিত্ব ছোট করব না। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট হারিয়েছি আমরা। তবে মাঠে আমরা ভুল করেছি। রানটা জেতার মতো ছিল।' মুশফিকুর বলেছেন, 'আমার ও সৌম্যর পরিকল্পনা ছিল ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়ার। তাতেই সফল হয়েছি। সৌম্যও দারুণ ব্যাট করেছে।'