অ্যাডিলেড: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T20 World Cup) রবিবার শুরুতে সকলকে চমকে দিয়ে নেদারল্যান্ডস দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরাজিত করায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সামনে বড় সুযোগ চলে আসে। প্রোটিয়াদের ব্য়র্থতায় বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচে (PAK vs BAN) জয়ী দলই যে সেমিফাইনালে পৌঁছবে, তা নির্ধারিত হয়ে যায়। ম্য়াচে বাংলাদেশকে (Bangladesh Cricket Team) পাঁচ উইকেটে হারিয়ে গ্রুপ ২ থেকে সেমিফাইনালে নিজেদের টিকিট পাকা করে নেয় পাকিস্তান। সেমিফাইনালে পৌঁছতে ব্যর্থ হলেও, বাংলাদেশ অধিনায়ক শাকিব আল হাসানের (Shakib Al Hasan) দাবি এটাই নাকি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা পারফরম্যান্স।


বিশ্বকাপে সেরা পারফরম্যান্স


ম্যাচের পর শাকিব বলেন, 'ইনিংসের মাঝপথে আমাদের স্কোর ৭০ রানের বিনিময়ে এক উইকেট ছিল। এই পিচে ১৪৫ থেকে ১৫০ রান তুলতে পারলে প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানানো যাবে বলেই আমার মনে হয়েছিল। নতুন ব্যাটারদের এই পিচে নেমেই বড় শট খেলা চাপেরই ছিল। তাই চাইছিলাম যাতে আমাদের সেট ব্যাটাররা শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। শুধুমাত্র ফলাফলের নিরিখে দেখতে গেলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটা আমাদের সর্বকালের সেরা পারফরম্যান্স। আরও ভাল পারফর্ম করা যেত। কিন্তু দলে অনেক নতুন খেলোয়াড়রা সুযোগ পেয়েছেন, অনেক বদলও হয়েছে, তাই সেই অনুযায়ী এর থেকে ভাল পারফরম্যান্স করাটা কঠিনই ছিল।'


নিজের পারফরম্যান্সে হতাশ


শাকিবের নিজের পারফরম্যান্সও এই বিশ্বকাপে খুব একটা আহামরি ছিল না। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচেও ব্যাট হাতে প্রথম বলেই শূন্য রানে আউট হন শাকিব। বল হাতে এক উইকেট নিলেও, ৩৫ রান খরচ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। শাকিব নির্দ্বিধায় মেনে নিচ্ছেন, তাঁর নিজের পারফরম্য়ান্সও এই বিশ্বকাপে হতাশাজনকই ছিল। 'আমার নিজের পারফরম্যান্সের বিষয়ে কথা বলতে হলে বলব, যে আমি নিঃসন্দেহে আরও ভাল পারফর্ম করতে পারতাম। তবে যতদিন আমি ফিট রয়েছি এবং পারফর্ম করছি, ততদিন আমি দেশের হয়ে খেলা চালিয়ে যেতে চাই।' বলেন শাকিব।


নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২৭ রান বোর্ডে তুলতে পারে বাংলাদেশ। শাহিন আফ্রিদি ৪ ওভারের স্পেলে ২২ রান খরচ করে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। জবাবে ব্য়াট করতে নেমে প্রথম ওভারেই মহম্মদ রিজওয়ানের ক্যাচ মিস করেন উইকেটকিপার নুরুল হাসান। এই ভুলের খেসারতই দিতে হয় গোটা দলকে। বাবর ও রিজওয়ান মিলে ওপেনে ৫৭ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। তাঁরা ২ জন ফিরে গেলে শান মাসুদ ও মহম্মদ হ্যারিস মিলে দলকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন। শেষ পর্যন্ত ১৮.১ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় পাকিস্তান। 


আরও পড়ুন: শাহিনের ৪ শিকার, বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিতে পাকিস্তান