ঢাকা: অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠল বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য মহম্মদ শাহিদের বিরুদ্ধে। তাঁর স্ত্রী ফরজানা বলেছেন, ‘অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন আমাকে নিয়মিত লাথি মারত। ও আমার উপর প্রচণ্ড অত্যাচার করত। বহু মহিলার সঙ্গে ওর সম্পর্ক রয়েছে।’

ফরজানা আরও বলেছেন, বিয়ের সময় শাহিদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা একদমই ভাল ছিল না। সোনার গয়না কেনার ক্ষমতা না থাকায় তাঁরা রুপোর গয়না উপহার দেন। বিয়ের পর প্রথম দু বছর তাঁরা সুখেই ছিলেন। তারপর থেকেই শুরু হয় অত্যাচার। মেয়েকে নিজের বলে মানতে চান না শাহিদ।

ফরজানার তুতো দাদা ডালু কাজি বলেছেন, আট বছর আগে তাঁর বোনের সঙ্গে শাহিদের বিয়ে হয়। তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। গত বছর মেয়ের জন্ম হয়। মেয়েকে মেনে নেননি শাহিদ। মেয়ের জন্ম হওয়ার পর ফরজানার উপর অত্যাচার বেড়ে যায়। সপ্তাহখানেক আগে মারধর করে ফরজানাকে ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার হুমকিও দেন শাহিদ। এরপরেই বাপের বাড়িতে চলে এসেছেন ফরজানা। মুন্সিগঞ্জের হাতিমারা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। শাহিদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে হওয়ায় সেখানকার আদালতে মামলা দায়ের করার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। ঈদের ছুটির পর আদালত খুললে তাঁরা মামলা করবেন।

বাংলাদেশের হয়ে পাঁচটি টেস্ট এবং একটি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন শাহিদ। ২০১৬ সালে তিনি শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন। গত বছর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে চোট পাওয়ায় জাতীয় দল থেকে ছিটকে যান এই ডান হাতি পেসার। তিনি যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তাঁর স্ত্রী বাড়িয়ে বলছেন। সবাই তাঁকে বড় ক্রিকেটার বলে দেখে হিংসার বশে ফরজানার জামাইবাবু ষড়যন্ত্র করছেন।