পরিচালক অনুভব সিনহার সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজনৈতিক মতের পার্থক্যকে দূরে সরিয়ে রেখেই স্মৃতি সকলকে এই ছবিটি দেখার অনুরোধ করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি নিজেও ছবিটা দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
মহিলাদের উপর গার্হস্থ্য হিংসার বিপক্ষে কথা বলেছে এই ছবি। মারধর কেন, স্ত্রীকে একটা থাপ্পড় মারাও অন্যায়, এই বার্তাই পৌঁছে দিতে চেয়েছেন পরিচালক। আপাত সুখী দাম্পত্যের ফ্রেম যে একটা থাপ্পড়েই ভেঙে চুরমার হতে পারে, দেখাতে চলেছে ছবিটি। ‘থাপ্পড়’- এক নারীর আত্মসম্মানের লড়াই। সেই সঙ্গে মহিলাদের উপর ঘরোয়া হিংসা নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রশ্নও উত্থাপন করেছেন পরিচালক।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছবিটির ট্রেলার দেখে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে। যেমন -
'কতজনকে শুনতে হয়েছে, ‘মেয়েদের তো মানিয়ে নিতেই হয়’
কতজন ভাবেন, ‘গরিব ঘরেই মেয়েরা স্বামীর হাতে মার খায়।’
কতজন বিশ্বাস করেন, ‘শিক্ষিত লোকেরা কখনও গায়ে হাত তোলেনা।’
কতজন তাঁর বাড়ির মেয়ে-বউদের বলেন, ‘কোনও ব্যাপার নয়, এসব তো আমাদের সঙ্গেও ঘটেছিল, কিন্তু আজ দেখো কত সুখে আছি!’'
ছবির বিষয়বস্তুর ভূয়সী প্রশংসা করে স্মৃতি লিখেছেন -
‘হতে পারে পরিচালকের রাজনৈতিক মতাদর্শ আমার থেকে আলাদা, হয়ত কোনও কোনও ক্ষেত্রে কোনও অভিনেতার সঙ্গেও আমার মতের ফারাক হয়। কিন্তু আমি এই ছবিটি দেখবই। সকলকে পরিবার নিয়ে দেখতে বলব। একজন মহিলার গায়ে হাত তোলা যায় না। থাপ্পড় মারাও যায় না। একটা থাপ্পড়ও না!’
এই মাসের শেষেই প্রেক্ষাগৃহে আসতে চলেছে ছবিটি।