নিউ ইয়র্ক: বিশ্ব ক্রীড়ায় তিনি একজন কিংবদন্তি। শূন্যে শরীর ভাসিয়ে অবিশ্বাস্য দক্ষতার পরিচয় দিতেন বলে তাঁর নামকরণই হয়ে গিয়েছিল এয়ার জর্ডান। প্রবাদপ্রতিম বাস্কেটবল খেলোয়াড় মাইকেল জর্ডান (Michael Jordan) শিরোনামে উঠে এলেন। কারণ, তাঁর ব্যবহৃত স্পোর্টস শ্যু বিক্রি হল রেকর্ড অর্থে।


নিলামে তোলা হয়েছিল জর্ডানের একজোড়া জুতো। যে জুতোর দাম শুনলে চমকে উঠতে পারেন। ২২ মিলিয়ন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যে অঙ্কটা দাঁড়ায় ১৮ কোটি ৬ লক্ষ টাকা!


ক্রীড়া বিশ্বে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছেন জর্ডান। যে স্নিকার পায়ে পরে জর্ডান ১৯৯৮ সালে এনবিএ ফাইনালে খেলেছিলেন, সেই জুতো জোড়াই তিনি নিলামে তুলেছিলেন। খেলাধুলার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়া স্নিকারের তালিকায় এক নম্বরে থাকবে জর্ডানের এই জুতোজোড়া।


বিখ্যাত নিলাম সংস্থা সদবিস জানিয়েছে, ২২ লক্ষ মার্কিন ডলারে (ভারতীয় মুদ্রায় ১৮ কোটিরও বেশি টাকা) বিক্রি হওয়া এই স্নিকার ইতিহাস তৈরি করেছে। এর আগে ২০২১ সালে জর্ডানের স্নিকার বিক্রি হয়েছিল ১৫ লক্ষ ডলারে। সেই রেকর্ডও ছাপিয়ে গেল এবারের নিলামে জুতো বিক্রির অঙ্ক।


এক বিবৃতিতে এই নিলামসংস্থা জানিয়েছে, এই নিলামের ফলে আবার বোঝা গেল, মাইকেল জর্ডানের জনপ্রিয়তা কোন উচ্চতায় রয়েছে। সংগ্রাহকরা তাঁর স্নিকার সংগ্রহ করতে কীভাবে ঝাঁপিয়েছেন, দর কষাকষি হয়েছে, সেটাও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। এই স্নিকারটি জর্ডান সই করে একজন বল বয়কে দিয়েছিলেন। তবে সেই বল বয় স্নিকার বিক্রি করেননি। করেছেন অন্য এত ক্রেতা। তার নাম জানায়নি নিলামসংস্থা।


কেন এই স্নিকার এতটা মূল্যবান?


জর্ডানের এই জুতোজোড়া কালো ও লাল রংয়ের। তাই ব্ল্যাক ও রেড মিলিয়ে এর নাম দেয়া হয়েছে ব্রেড। ১৯৯৮ সালে এনবিএ ফাইনালে দুই নম্বর গেমে মাইকেল জর্ডান এই স্নিকার পায়ে দিয়ে খেলেছিলেন। এটাই ছিল তাঁর ষষ্ঠ ও শেষ এনবিএ চ্যাম্পিয়নশিপ।


জর্ডানের বয়স এখন ৬০ বছর। তিনি বাস্কেটবল জীবনের অধিকাংশ ম্যাচ শিকাগো বুলসের হয়ে খেলেছিলেন। ছটি চ্যাম্পিয়নশিপ তিনি শিকাগো বুলসের হয়েই জেতেন। ১৯৯৮ সালে ওই ম্যাচে বুলস ৯৩-৮৮ ব্যবধানে জেতে। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে জর্ডন এই স্নিকারটি পরেছিলেন। ইএসপিএন/নেটফ্লিক্সের তথ্যচিত্র 'দ্য লাস্ট চান্স'-এ এই ম্যাচের অংশ ছিল। জর্ডান এখনও বিখ্যাত ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থা নাইকির কাছ থেকে এয়ার জর্ডান সিরিজের স্নিকার বিক্রির রয়্যালটি পান।



আরও পড়ুন: ভারতীয় পেসাররা এনসিএ-র স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে যেতে পারেন! চাহারদের চোট দেখে ক্ষুব্ধ শাস্ত্রী