রাঁচি: মুস্তাকে (Sayed Mustaq Ali Trophy) চ্যাম্পিয়ন মুম্বই (Mumbai) ছিল সামনে। লড়াইটা যে কঠিন হবে তা আগেই থেকেই জানা ছিল। কিন্তু বাংলার ব্য়াটিং লাইন আপ যে এভাবে হাল ছেড়ে দেবে তা কেউ ভাবেননি। বিজয় হাজারে ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল বাংলা। আর সেই ম্যাচেই প্রথমে ব্য়াট করে ১২২ রানে অল আউট হয়ে যায় বাংলা। একমাত্র কিছুটা লড়াই করেন অভিজ্ঞ তারকা ব্যাটার মনোজ তিওয়ারি। 


মনোজের লড়াই, ১২২ রানে অল আউট বাংলা


এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুম্বই অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে। প্রথমে ব্য়াট করতে নেমেছিল বাংলা। ওপেনে অভিমন্যু ঈশ্বরণ ও ঋত্বিক চ্যাট্টার্জী নেমেছিলেন। অধিনায়ক অভিমন্যু ১২ রান করে ফিরে যান। অন্যদিকে ঋত্বিক ১ রান করে ফেরেন। অনুষ্টুপ মজুমদার ৯ রান করে ফেরেন। এরপরই মনোজ তিওয়ারি কিছুটা লড়াই করেন। ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ৬৪ বলের ইনিংস ৫টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান। লোয়ার অর্ডারে শাহবাজও ব্যর্থ হন। তিনি ১ রান করে ফেরেন। শেষ পর্যন্ত ৩১.৩ ওভারে ১২২ রানে অল আউট হয়ে যায় বাংলা দল। 


ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে ১০ উইকেটে হেরে ভারতীয় দলের (Indian Cricket Team) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T20 World Cup) অভিযান সমাপ্ত হয়েছে। ফের একবার বিশ্বখেতাব অধরাই রয়ে গিয়েছে। সেমিফাইনালে ভারতীয় দলের ব্যর্থতা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। দুর্দিনে দলের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন সচিন তেন্ডুলকর, যুবরাজ সিংহরা। এবারে মুখ খুললেন দলের তারকা ক্রিকেটার বিরাট কোহলিও (Virat Kohli)। হতাশার মাঝেও নতুনভাবে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসার বার্তা দিলেন বিরাট।


বিরাটের অঙ্গীকার 


প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, 'আমার নিজেদের লক্ষ্যপূরণ না করতে পেরে, একরাশ হতাশা নিয়ে অস্ট্রেলিয়া ছাড়তে চলেছি। তবে দলগতভাবে আমরা এখান থেকে অনেক স্মৃতি সঙ্গে নিয়ে ফিরছি। এই অবস্থান থেকে নিজেদের উন্নতি করাই আমাদের লক্ষ্য। আমাদের সমর্থনে প্রত্যেকটি ম্যাচেই গ্যালারিভর্তি করার জন্য সমর্থকদের অনেক অনেক ধন্যবাদ। এই জার্সি গায়ে চাপিয়ে দেশের হয়ে মাঠে নামতে পারায় সবসময়ই গর্ব হয়।' ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে ব্যর্থ হলেও, গোটা টুর্নামেন্ট জুড়েই কথা বলেছে বিরাটের ব্যাট।